রাজবাড়ীতে দীর্ঘদিন সিসি টিভির দাবি জানিয়ে আসছিল সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ। অবশেষে রাজবাড়ী পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান যোগদানের পর এ দাবীটি পুরণ হয়। উদ্বোধনের পরই সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে এলাকার লোকজন।
গোয়ালন্দ উপজেলার কেউটিল গ্রামের বিমল চন্দ্র মন্ডলের ছেলে ঢাকাস্থ কর কমিশনারের কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক বিদ্যুৎ চন্দ্র মন্ডল। তিনি নিজের বিয়ে তাই বাড়িতে এসেছেন। সোমবার দুপুরে পূর্বের অর্ডার করা মিষ্টি নিতে মোটর সাইকেলে চেপে রাজবাড়ী শহরে এসেছেন। অসাবধানতাবশত অনেক টাকা-পয়সা ও মূল্যবান কাগজপত্রসহ জেলা জজের বাংলোর সামনে এলে মানিব্যাগটি রাস্তায় পড়ে যায়। এ সময় রাজবাড়ী ডিবির ওসি মো. ওমর শরীফ ও ইন্সপেক্টর মো. জিয়ারুল ইসলামসহ ডিবির টিম সদ্য উদ্বোধনকৃত সিসিটিভির মনিটর করছিলেন। তখন ব্যাগটি রাস্তায় পড়ে যাবার দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি হয়ে নজরে আসে। সাথে সাথেই ডিবির সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ব্যাগটি হাতে এসে পৌঁছে ওসি ডিবি মো. ওমর শরীফের। ব্যাগটিসহ টিম ডিবি ফিরে আসেন অফিসে। চেষ্টা চলে ব্যাগের মালিক অন্বেষণের। রেঞ্জ ডিআইজি ঢাকা মো. হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার) পিপিএম (বার) কর্তৃক সদ্য উদ্বোধনকৃত সিসিটিভি ক্যামেরা ভালো করে বিশ্লেষণ চললো।
ওসি ডিবি মো. ওমর শরীফ ও ইন্সপেক্টর মো. জিয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে কিছুক্ষণ ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে শনাক্ত হলো ব্যাগের মালিক। দেখা গেল একটি মোটর সাইকেলে চড়ে দুজন আরোহী দ্রুত বেগে শহরের দিকে যেতে। ডিসি অফিস বরাবর শিল্পকলা চত্বরে বসানো ক্যামেরার অত্যন্ত স্পষ্ট করে দেখার পর একজনকে চেনা গেল। ফোন নম্বর সংগ্রহ করে ফোন দেওয়া হলো। মানিব্যাগের কথা বলতেই তিনি পকেট চেক করেই চমকে উঠেন। আমন্ত্রণ জানানো হয় ডিবি অফিসে আসতে। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ডিবি অফিসে ব্যাগের মালিক হাজির। এরপর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বিপিএম (বার) এর হাত দিয়ে মালিকের হাতে মুল্যবান কাগজপত্র ও টাকা-পয়সা সহ ব্যাগটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
ডিবি ইন্সপেক্টর মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যেই সিসি টিভির সুফল বইতে শুরু করেছে রাজবাড়ী বাসী। হারিয়ে যাওয়া টাকা ও মানিব্যাগ ৫ মিনিটেই মালিকের হাতে তুলে দিতে পেরেছি। এটা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান পিপিএম বার এর উদ্যোগে সদ্য লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার প্রথম সাফল্য।