দেশের সর্ববৃহত গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে ‘জনগণের দরবার’ নামে বুধবার বিকেলে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আশিকুর রহমান একটি অফিসের উদ্বোধন করেছেন। উদ্বোধনের দিনই পল্লীর বাসিন্দাদের দাবির মুখে খুলে দেয়া হয় পল্লীর বন্ধ করে রাখা একাধিক প্রবেশদ্বার।
জানা যায়, দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে গত তিন মাস আগে পুলিশ পল্লীর ৬ টি প্রবেশ পথের মধ্যে প্রধান পথ খোলা রেখে অন্যান্য প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেয়। সেই সাথে যৌন পল্লীতে নজরদারী বাড়াতে স্থাপন করা হয় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প। এতেকরে নিষিদ্ধ এই পল্লীতে আগতদের সংখ্যা অনেকটাই কমে যায়। রোজগারে ব্যাপক প্রভাব পড়ে পল্লীর অন্তত ৫ হাজার বাসিন্দাদের।
বুধবার বিকেলে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি ‘জনগণের দরবার’ নামে যৌনপল্লীর মধ্যে একটি অফিসের উদ্বোধন করেন। এখানে যৌনকর্মীদের বিভিন্ন অসুবিধা ও অভিযোগ গ্রহন করেন ওসি। এখানে অভিযোগ জানাতে আসা শতাধিক যৌনকর্মী জানান, যৌনপল্লীর কয়েকটি প্রবেশ পথ বন্ধ থাকায় তারা মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন বলে জানান। এসময় ওসি তৎক্ষনাত বন্ধ প্রবেশ পথগুলো খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করেন। অফিস উদ্বোধন কালে আরো উপস্থিত ছিলেন গোয়ালন্দ ঘাট থাার ওসি (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর।
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, কোন পথ বন্ধ করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সমুচিন না। প্রবেশ পথও খোলা থাকবে, নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা হবে।
জনতার দারবারের উদ্বোধন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর হাজার হাজার বাসিন্দাদের প্রতিদিনই কোন না কোন সমস্যা নিয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় যেতে হয়। এতে তাদের যেমন অর্থের অপচয় হয়, অপরদিকে সময় নষ্ট হয়। ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গিকার, পুলিশ হবে জনতার’ এই প্রয়াসকে বাস্তবে রূপদিতে পুলিশী সেবা জনগণের দ্বোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতেই এই উদ্যোগ গ্রহন করেছি। এখানে প্রতিদিন বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তিনি নিজে উপস্থিত থেকে বিভিন্ন মামলা, জিডি ও অভিযোগ গ্রহন করবেন।