রাজনীতিতে ভেজাল, গণতন্ত্রে ভেজাল, ভেজাল চিন্তা-চেতনায়। এমনই ভেজালই পরিলক্ষিত হচ্ছে কালের খতিয়ানে। হাল জামানায় ভেজাল বিষয়ে বিৃচার বিশ্লেষণের অন্ত নেই। তবে সংসদীয় গণতন্ত্র চর্চার পদ্ধতিতে ভেজাল না রাজনীতিকদের দেশপ্রেমে ভেজাল? সঙ্গত কারণে এ ধরনের নানাবিধ প্রশ্ন উঠেছে নাগরিকদের মনে। কারণ নাগরিকের ‘অধিকার’ দেখার যেনো হাল জমানার কেউ নেই। বড় দলগুলোর মধ্যে ক্ষমতায় থাকা আর ক্ষমতায় যাওয়াই যেনো দেশপ্রেমের লক্ষ্য! নাগরিকের সংকট, সমস্যা ও স্বার্থের বদলে রাজনীতিকরা ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দিতে সচেষ্ট।
কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তার ‘ভেজাল’ শিরোনাম কবিতায় লিখেছেন- ‘ভেজাল ভেজাল ভেজাল রে ভাই; ভেজাল সারা দেশটায়। ভেজাল ছাড়া খাঁটি জিনিস; মেলবে নাকো চেষ্টায়। ভেজাল তেল আর ভেজাল চাল; ভেজাল ঘি আর ময়দায়। কৌন ছোড়ে গা ভেজাল ভেইয়া; ভেজাল সে হায় ফায়দা। ভেজাল পোশাক ভেজাল খাবার; ভেজাল লোকের ভাবনা। ভেজালেরই রাজত্ব এ পাটনা থেকে পাবনা।’
খাদ্যপণ্যে ভয়াবহ ভেজালের মতো রাজনীতি, গণতন্ত্র চর্চা এবং দেশপ্রেমেও ভেজালের প্রাধান্য দেখা যাচ্ছে। কবি পাটনা থেকে পাবনায় ভেজালের কথা বললেও কার্যত সবখানেই ভেজাল পরিলক্ষিত হচ্ছে। জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়নে রাজনীতিকের চেয়ে আমলা-ব্যবসায়ীর প্রাধান্য বেশি। নাগরিক সুবিধা নিয়ে ভাবনার বদলে ‘ব্যক্তি সুবিধা এবং দলীয় সুবিধা’র ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে অধিক। দেশপ্রেমের কথা মুখে বললেও জাতীয় স্বার্থের বদলে দায়িত্বশীল অনেককেই কর্মে বিদেশী স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে দেখা যায়। রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চার কথা ঢাকঢোল পিটিয়ে চারিদিকে চাউর করা হলেও ‘পরিবার তন্ত্র’, ‘ব্যক্তিতন্ত্র’, ‘ঠেলাতন্ত্র’, ‘তোষামোদতন্ত্র’ সর্বোপরি ‘স্বার্থতন্ত্র’ কার্যকর করাই যেনো নেতাকর্মীদের প্রধান কাজ। সবখানে তোষামোদ, ব্যক্তি স্বার্থের আধিক্য প্রধান্য পরিলক্ষিত হয়। ভালো-মন্দ, নীতি-নৈতিকতার বলে অবশিষ্ট বলতে যেনো কিছু খোঁজে পাওয়া বড়ই দুষ্কর। ৭০ লাখ টাকার থলেসহ ধরা পড়ার পরও এদেশের এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর ভাষ্য ছিলো- ‘আমি চোর নই; কেষ্ট বেটায় চোর’।
এবড়োথেবড়ো রাস্তায় খানাখন্দে মানুষের দুর্ভোগ দেখে দায়িত্বশীল মন্ত্রী ‘মুসকি হেসে’ বলেন- ‘রাস্তার করুণ অবস্থা দেখে মন্ত্রী হিসেবে আমি লজ্জা পাচ্ছি’।
অপরমন্ত্রী রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম প্রকাশ করে চারিদিকে চাউর করছেন- ‘যাচাই-বাছাই না করেই রাজাকারের তালিকায় প্রকাশে করে আমি বেকুবের মতো কাজ করেছি। এতে আমি লজ্জিত।’
লজ্জা পেলে মানুষ ‘হেসে তার প্রকাশ ঘটায়’ এ ঘটনা কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘ভেজাল’ কবিতাকে সার্থক করেছে। মন্ত্রীর দায়িত্ব পালনেও ভেজাল দেখা যাচ্ছে। খাদ্য পণ্যের মতো দেশপ্রেম, দায়িত্ব পালনে যে ভেজাল ঢুকে গেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
নৈতিকতা লোপ পাওয়ায় মন্ত্রী বাহাদুরদের এমন বেমানান কাজ করার ঘটনা ঘটছে। আর গণতন্ত্র চর্চার নামে নির্বাচনের মাধ্যমে ইজারাতন্ত্র চালু হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। নেতানেত্রীদের মানসিকতার পরিবর্তন এবং রাজনীতির ঘোল-নলচে পাল্টে ফেলতে হবে।
জনগণের স্বার্থের দোহাই দিয়ে রাজনীতি চর্চার দাবি করা হলেও কার্যত দেশে চলছে এখন গণতন্ত্রের নামে ‘অপরাজনীতি’। গণতন্ত্রের নামে ক্রমেই ভেজাল গণতন্ত্রের চর্চা বৃদ্ধি হচ্ছে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার নামে নির্বাচিত ‘প্রধানমন্ত্রীর এক নায়কতন্ত্র’ কায়েম চলছে। প্রবাদের ‘জুতার ফিতা থেকে চ-ি পাঠ’Ñ সবকিছু যেনো ‘প্রধানমন্ত্রীকেই করতে হচ্ছে।
সংসদীয় গণতন্ত্রের চর্চার নামে স্থানীয় সরকারকে ‘ঠুটো জগনাথ’ করে রেখে ‘এমপির রাজত্ব’ কায়েম করা হচ্ছে। সংসদীয় গণতন্ত্রের চর্চার কথা বলা হলেও খোদ ক্ষমতাসীন দলগুলোর ভেতরেই গণতন্ত্রের চর্চা দেখা যায় না। নিয়ম রক্ষার সম্মেলন হলেও ‘নেতা’ নির্বাচনের দায়িত্ব শীর্ষ নেতানেত্রীদের ওপর কর্তৃত্ব বর্তায়। সংসদ কার্যত ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছা পূরণের কাজে ব্যবহার হচ্ছে। ফলে সংসদে জনগণের স্বার্থ দেখা হয়না বললেই চলে। পদ্মা সেতু নিয়ে ব্যাপক উন্নয়ন ফেরি করলেও মানুষের চলাচলের অন্য রাস্তাগুলো দেখার যেনো কেউ নেই।
একটি পত্রিকার খবরে জানা যায়, মানুষ চলাচলের সড়কগুলোর মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগ রাস্তাই চলাচলের অযোগ্য। দায়িত্বশীল মন্ত্রী প্রতিদিন রাস্তা তদারকির নামে ক্যামেরায় পোজ দিলেও সেগুলো দেখার কেউ নেই। ছোট্ট একটি ঘটনায় তার প্রমাণে পাওয়া যায়। ‘ওরে বাবারে; কোমড় গেল’ চিৎকারে বাস থাকলেও ততক্ষণে অঘটন ঘটে গেছে। হাঁটু কাদায় মাখামাখি হয়ে গেছে তার বৃদ্ধ পিতা। খানাখন্দের রাস্তায় চলন্ত বাসের সিট থেকে পড়ে বৃদ্ধ কাতরাচ্ছিল তখনও বাস চলছে। পেছনের আরেকটি বাস চাকার ছিটকানো কাদায় ৪/৫ জন পথচারীর পরনের কাপড় ততক্ষণে ‘ন্যাত্রা’ হয়ে গেল। বাসযাত্রীদের চেঁচামেচি আর গালিগালাজেও ড্রাইভারের ভ্রূক্ষেপ নেই। কারণ ট্রাফিক পুলিশ হাত তোলার আগেই তাকে যাত্রাবাড়ী মোড় পার হতে হবে। একপর্যায়ে যাত্রীদের প্রতিবাদে বাস থামানো হলো এবং পুলিশ এসে গাড়ি আটক করে। গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দুইশত টাকা রফাদফার পর গাড়ি আবার চলতে শুরু করলো। এবার ড্রাইভারের মুখে ‘বিজয়ের হাসি’। বললো দুইশত টাকায় ‘খেল খতম’ করে এলাম। প্রতিদিন এ ধরনের অসংখ্য ঘটনা ঘটছে। হাজার হাজার যানবাহনে চলাচল করা যাত্রীর দুর্ভোগ দেখার যেনো কেউ নেই। বছরের পর বছর ধরে এ দূরাবস্থা চলছে তো চলছেই।
প্রথমে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ধ্বংস, পরে সংবিধান রক্ষার নামে সংশোধন, পাবলিক পরীক্ষায় ভেজাল, নিয়োগে ভেজাল, রিজাভ ফান্ট চুরি, ক্রেস্টে স্বর্ণ ভেজাল, এমপির গুলিতে পথচারি শিশু আহত, এমপির নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধা নিহত, এমপি পিটালেন সাংবাদিকদের, এমপি একাই শত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সভাপতি, এমপির ইশারায় ডাকসুর ভিপির উপর হামলা, মন্ত্রীর র্যাব কর্মকর্তা জামাতা সেভেন মার্ডারের হোতা, এমন্ত্রীর ঠককারিতায় আট গ্রাম বিদ্যুৎ বঞ্চিত, ভাই এমপি তাই কোটিপতি, এমপির কোটায় টিআর কাবিটা প্রকল্পে নির্ভেজাল অনিয়ম-দুর্নীতি; এমন নানাবিধ অপ্রত্যাশিত শিরোনামে গণমাধ্যে স্থান করে নিলো লীগ স্তবকরা।
আওয়ামীবাদী এগিয়ে যাওয়ার ডিজিটাল বাংলার হাল জমানার অবস্থা দেখে মনে হয়, অর্ধশত বছর আগে কবি শামসুর রাহমানের লেখা ‘উদ্ভট উঠের পিঠে চলেছে স্বদেশ’ কবিতার যুৎসই উদাহরণ। একজন বাসচালক বললেন, স্যার শনিরআখড়া থেকে যাত্রাবাড়ী-সায়দাবাদ-টিকাটুলি পার হওয়ার পর মনে হয় ‘পুলসিরাত’ পার হলাম। সরকার নানা কাজে সাফল্যের দাবি করলেও বাস্তবতা ভিন্ন।
নাগরিক অধিকার বলে দেশে এখন আর কিছু নেই বললেই চলে। সংসদীয় গণতন্ত্রে নির্বাচন মানে ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত সরকারকে দেশ ইজারা দেয়া। ক্ষমতাসীনরা যা খুশি করবেন; যা মনে চায় বলবেন, প্রতিবাদ করা যাবে না। নিয়মিত ট্যাক্স পরিশোধ বাধ্যতামূলক হলেও নাগরিক সুযোগ-সুবিধার দাবি করা যাবে না। দুই রাজনৈতিক দলের ক্ষমতায় যাওয়া আর ক্ষমতায় থাকার দ্বন্দ্বে চিড়ে-চ্যাপ্টা নাগরিক সুবিধাবঞ্চিত মানুষ। সরকার দাবি করছে, বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান, সংসদকে কার্যকর, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, প্রশাসনকে নিরপেক্ষকরণ, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, আইনকে নিজস্ব গতিতে চলতে দেয়া, দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালীকরণ, কৃষকদের কাছে ন্যায্যমূল্যে কৃষি উপকরণ সরবরাহসহ নানাবিধ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। অথচ বাস্তবতা ভিন্ন। মহাজোটের নির্বাচনী ইশতেহারে ক্ষমতায় গেলে ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রতিরোধ এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা’, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ’, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সমস্যার সমাধান’, ‘দারিদ্র্য দূরীকরণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং দল নিরপেক্ষ ‘সুশাসন প্রতিষ্ঠা’ এ ৫টি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। অগ্রাধিকার দেয়া এই ৫ প্রতিশ্রুতির কোনোটিই কার্যত বাস্তবায়ন হয়নি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও বিদ্যুৎ সংকট সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু ফলাফল পায়নি মানুষ। বরং ‘মন্ত্রী কথা বললে পণ্যের মূল্য বাড়ে’ রেন্টাল কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ দুর্নীতির বিচার রোধে ইনডেমনিটি বিল পাস করা হয়েছে বলে সরকারের দুর্নাম হয়েছে। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতের পরিবর্তে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অস্থির হয়ে উঠেছে। দারিদ্র্য দূরীকরণের কথা বললে ধনী-গরিব বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠার বদলে প্রশাসনকে ব্যাপকভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে। এছাড়াও নির্বাচনী ইশতেহারে স্থানীয় সরকারকে বিকেন্দ্রীকরণ, কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন, পরিবেশ ও পানি সম্পদের রক্ষায় সমুন্নত নীতিমালা গ্রহণ, শিল্প বাণিজ্যের প্রসার ঘটিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও অবাধ তথ্য প্রবাহ, নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ, যুব সমাজের কর্মসংস্থান, যোগাযোগ ও ভৌত অবকাঠানোর উন্নয়ন, জাতীয় শ্রম নীতির পুনর্মূল্যায়ন কোনোটিই হয়নি। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পদ্মা সেতু নিয়ে বিরোধ। দুর্নীতির কারণে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর ঋণচুক্তি বাতিলের পর সরকারের অবস্থান ‘বিশ্ব দরবারে’ বাংলাদেশের ভাবমূর্তিতে কালি লেপ্টে দিয়েছে। সরকারের মতো বিরোধী দলের অবস্থাও প্রায় একই। নাগরিকের সমস্যা সমাধানের দাবিতে কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করেনি বিরোধী দল। শুধু দলীয় স্বার্থ এবং ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন সে সব দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে। বিএনপির নির্বাচনী ইশতেহারে সংসদ কার্যকর করার কথা ছিল। দুর্নীতি দমন, সন্ত্রাস দমন, উপজেলা পরিষদ বাস্তবায়ন, ন্যায়পাল নিয়োগ, বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ, বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল, স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন গঠনসহ নানা বিষয় ছিল। বিএনপির চেয়াপার্সনের বাড়ি রক্ষা এবং গুম হয়ে যাওয়া সাবেক এমপি ইলিয়াস আলী উদ্ধারের দাবিতে আন্দোলন করা হলেও অন্য বিষয়গুলো থেকেছে উপেক্ষিত। জনগণের দাবি-দাওয়াকে প্রাধান্য দিয়ে কর্মসূচি না দিলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে আন্দোলন করছে বিএনপি জোট।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের সময়ে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারে বিএনপির সদস্য রাখার প্রস্তাব দিয়ে ছিলেন। বিএনপি যথারীতি ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন এ ইস্যুই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে। অথচ পণ্যমূল্য, বিদ্যুৎ-পানির সমস্যা, রাস্তা সংস্কার, রাজধানীতে তীব্র যানজটে মানুষের কষ্ট, আইন শৃংখলা অবনতিতে মানুষের আতঙ্কÑ এসব নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যথা নেই। গণতন্ত্র চর্চায় বিঘœ ঘটতে পারে এমন আশঙ্কা সাধারণ মানুষ করলেও রাজনীতিকরা সেটা আমলে নিচ্ছেন না। তাদের শুধু একটাই ভাবনাÑ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা। চলমান সংকট সমাধান না হলে গণতন্ত্র আবার ১/১১ মোলাটে বন্দি হবে কি-না তা নিয়ে রাজনীতিকদের কোনো চিন্তাফিকির নেই।
এ যেনো জীবনানন্দ দাশের কবিতার মতো ‘হাড়ের মালা গলায় গেঁথে অট্টহাসি হেসে; উন্নবাসেতে টলছে তারা জ্বলছে তারা খালি। ঘুরছে তারা লাল মশানে কপাল-কবর চেষে; বুকের বোমা-বারুদ দিয়ে আকাশটারে জ্বালি। পাঁয়জোরে কাল মহাকালের পাঁজর ফেড়ে ফেড়ে; মরার বুকে চাবুক মেরে ফিরছে মরুর বালি। সর্বনাশের সঙ্গে তোরা দম্ভে খেলিস পাশা অবস্থা।
(লেখক : এম. কে. দোলন বিশ্বাস, দৈনিক সংবাদের সাবেক সহ-সম্পাদক)