সরকার সারাদেশে ঢাক ঢোল পিটিয়ে বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরলেও শৈলকুপা - লাঙ্গলবাঁধ ভায়া ধলহরাচন্দ্র সড়কের বেহালদশা দেখ দিয়েছে । সড়কও জনপদের এই সড়কটি দীর্ঘদিন সষ্কার না হওয়ায় বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে ,বিগত চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা- লাঙ্গলবাঁধ ভায়া ধলহরাচন্দ্র সড়কটি পাকাকরন হয়েিেছল। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার জনসাধারনসহ ট্রাক, মাইক্রো , লেগুনা ,ভ্যানসহ শতশত যানবাহন চলাচল করে থাকে । শৈলকুপা থানাসদর থেকে লাঙ্গলবাঁধ বাজার পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার দূরত্ব এই সড়ক । প্রতিদিন লাঙ্গলবাঁধ ,চরপাড়া , মালিথিয়া কুশবাড়িয়া , শিতালী , আওধা, কমল নগর স্বরুপ নগর , ধলহরাচন্দ্র, খালকুলা , হাটুভাঙ্গা , আড়-য়াপাড়া , ছত্রভাঙ্গা, ধাওড়া , ছোটধলহরা, পাইকপাড়া , দোহানাগিরাট , চরপাইকপাড়া, হাজড়ামিনা , সোনদাহ, পাঠানপাড়াসহ প্রায় ৫০টি গ্রামের জনসাধারন এই সড়ক দিয়ে থানাসদর সহ জেলাও রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা শহরে যাতায়াত করে থাকে ।এইসড়কের পাশে রয়েছে ৩টি কলেজ ,৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৬টি প্রাইমারি স্কুল, ২টি শাখা পোস্ট অফিস ও ৩টি ছোটবড়ো হাট বাজার । লাঙ্গলবাঁধ থেকে শৈলকুপা থানাসদরে যেতে ১৫কিলোমিটার এইসড়কে সময় লাগে প্রায় ২ঘন্টা। লোক উপজেলা শৈলকুপা টু লাঙ্গলবাঁধ হাইওয়ে সড়কের বেহাল দশা, দেখে মনে হয় দেখার কেউ নেই।ইট খোয়া পাথর পিচ উঠে এইসড়কটির বিভিন্ন স্থানে বড়বড় গর্তের ¯ৃষ্টি হয়েছে । প্রতিদিন এ সড়কে দৃর্ঘটনা ঘটলেও সড়কটি সষ্কার করার জন্য কর্তপক্ষের কোনো মাথাব্যাথা নেই । সন্ধ্যার পর সড়কটিতে চলাচল করা অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। নির্বচনের সময় রাজনীতিক নেতারা সড়কটি সষ্কারের প্রতিশ্রুতি এলাকাবাসীর কাছে দিলেও আজৗ তা আলোর মুখ দেখেনি লেগুনা চালক আবু শহিদ জানান সড়কটি এতোই খারাপ যাচলাচলের অনুপযোগী।এলাকাটি কৃষিপ্রধান হওয়ায় কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপন্য বিক্রি করার জন্য বাজারে নিতে ন্যায্যমুল্য ছাড়াও ৩গুন বেশি টাকা কৃষকদের যানবাহন মালিকদের দিতে হচ্ছে। ধলহরাচন্দ্র গ্রামের শফিউল ইসলাম জানান সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ার কারণে থানা সদরের বাজারে প্রতিমল মালামাল নিতে ৫০/৬০ টাকা গাড়ি ভাড়া দিতে হচ্ছে। চরপাড়া গ্রামের চাঁদ আলী মেম্বর জানান সড়কটি অতি জনগুরুত্বপৃর্ন কেন যে সষ্কার হচ্ছে না তা আমার বোধগম্য নয় তবে তিনি সড়কটি দ্রুত সষ্কারের দাবি করেন । এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হায়দার বলেন সরকারি অর্থবরাদ্দ পেলেই সড়কটি সষ্কার করা সম্ভব হবে । এদিকে এলাকাবাসী সড়কটি দ্রুত সষ্কার করার জন্য সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ।