ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ হাসিদুর রহমান মিলনের বিরুদ্ধে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সদর উপজেলার পিপলিতা গ্রামের খালেদ ডাকুয়া খালেক ডাকুয়া। এ সময় তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। লিখিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন ১১ জানুয়ারি দুপুর ১ টার সময় সদর উপজেলাধীন কেওড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ পিপলিতা বাজারের জেলা বিএনপির উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম খানের ভাড়াটে চিহ্নিত সন্ত্রসী সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র নিয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের মারধর করে জিম্মি করে রাখে। এ সময় তাদের সংসারের আয়ের উৎস তার দোকানের যাবতীয় মালামাল লুটপাট করে। এতে ৫/৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয় বলে আরও জানান দোকানের সাটার ভেঙে ধুমরে মুচরে ফেলে দোকানের মালামাল ঝালকাঠিতে এনে বিক্রি করে দেয় ও আমার পাকা স্থাপনা ভেঙে ঘুড়িয়ে ত্রাসের সৃষ্টি করে। এ সময় তারা তার স্ত্রীর শ্লীলতাহানীও করে। এ ঘটনায় তার স্ত্রী ঝালকাঠি থানায় ১ টি মামলা দায়ের করে। মামলা দায়ের করার পর তাদের উপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। মামলা প্রত্যাহারের জন্য জোরপূর্বক একটি এফিট ডেফিট নিয়ে নেয়। মামালা প্রত্যাহার না করলে তার পরিবারে সকল সদস্যদের খুন করে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। ঘটনার সময় তিনি ঢাকায় ইস্তেমায় থাকায় আমার দোকানের সাটার খুলে নেয় এবং দোকান ঘর মিলনের নেতৃত্বে জাহাঙ্গীর আলম খান দখল নেয়। পরবর্তী সময় থানায় মামলা করে আমাদের বেশি বিপত্তিতে পরতে হয়েছে। ঝালকাঠি পুলিশ আমাদের অভিযােগ খানা তদন্ত স্বাপেক্ষে সত্যতা পাওয়ায় তারা দ্রুত গতিতে ব্যবস্থা নেওয়ায় তারা পুলিশকে হেয় করার চেষ্টা করছে। এ বিষয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও ঝালকাঠির রাজনীতিক অভিভাবক সাবেক মন্ত্রী আলহাজ আমির হোসেন আমু এমপি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিরপেক্ষ হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।