ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ চেয়েছে একটু সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সাথে জড়িত চক্র সব সময় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বাঁধাগ্রস্থ করার চেষ্টা করেছে। নির্বাচনকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে বিতর্কৃত করার চেষ্টা করেছে। এবারো যত চেষ্টা করুক না কেন আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচত করার জন্য বদ্ধপরিকর।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টু্িঙ্গপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ, আর লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হচ্ছে একটি আপেক্ষিক শব্দ। বিএনপি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডি এর কথা বলেন। কিন্তু তারা তো তত্ত্বাবধায় সরকারকে বিতর্কৃত করতে বিচারপতিদের বয়স বাড়িয়েছিল। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডি না থাকলে বিএনপি’র প্রার্থীরা ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোট চাইতে পারত না। নির্বাচনে লাখ লাখ মানুষ সমাগম হবে, সেখানে ছোট খাট ঘটনা ঘটতে পারে। তারপরও সরকার সজাগ আছে যাতে সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে। আর আওয়ামী লীগের সে সক্ষমতা রয়েছে। নির্বাচনেও তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তবে নির্বাচন কমিশন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর হাতে যেকোনো বিশৃঙ্খলা প্রতিহত করবে।
প্রার্থী ও জয়ের ব্যাপারে মন্ত্রী তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পক্ষে যে দুইজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তারা উত্তম প্রার্থী। তারা নির্বাচিত হলে ঢাকা শহর তিরোত্তমা নগরীতে পরিণত হবে। ঢাকা সিটিতে অধিকাংশ শিক্ষিত মানুষ বসবাস করেন। ঢাকার ভোটারা ভোট দিয়ে তাদের নির্বাচিত করবেন। তাই আমরা আশাবাদী দুই সিটিতে আমাদের প্রার্থী জয়ী হবেন।
এর আগে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
এ সময় এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী সুশংকর চন্দ্র আচার্য্য, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুল রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, গোপালগঞ্জ এ্লজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী একে ফজলুল হক, গোপালগঞ্জ পৌরসভার মেয়র কাজি লিয়াকত আলী লেকুসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ায় চলৎ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন করেন।