কুমিল্লার হোমনায় ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী। শুক্রবার সন্ধ্যায় পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাগমারা গ্রামে ওই ছাত্রীর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপ্তি চাকমা। সে উপজেলা সদরের কফিল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ও ওই গ্রামের সুকুমার দাসের মেয়ে। এ সময় সঙ্গে ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানিয়া ভূঁইয়া, থানা ওসি মো. আবুল কায়েস আকন্দ।
ইউএনও তাপ্তি চাকমা বলেন, ছুটির দিন (শুক্রবার) সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং থানা কর্মকর্তা ইনচার্জকে (ওসি) সঙ্গে নিয়ে সপ্তম শ্রেনির ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হই। গিয়ে দেখা যায়, বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন, বিয়ের প্রস্তুতি চলছে, কেবল বরযাত্রী এসে উপস্থিত হয়নি। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাজুল ইসলাম মেয়েটির পিএসসি সার্টিফিকেট, রেজিস্ট্রার ও ভর্তির বহির বিবরণ ও প্রত্যয়ন পত্র যাচাই করে মেয়েটির বয়স মাত্র তের বছর হওয়ায় বিয়ে বন্ধ করে দেই।
মেয়েটির পারিপার্শিক, সামাজিক ও মানবিক দিক বিবেচনায় স্থানীয় কাউন্সিলর ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতে আঠারো বছরের পূর্বে বিয়ে না দেওয়ার শর্তে মেয়েটির মা মঞ্জরী দাস ও এক চাচার দেওয়া পঞ্চাশ হাজার টাকার বন্ডে লিখিত মুচলেকার মাধ্যমে কোনো জেল-জরিমান ছাড়াই ছেড়ে দেওয়া হয়।=