সিলেটের জকিগঞ্জ পৌরসভা আওয়ামী লীগের যগ্ম সম্পাদক লন্ডন ফেরত পৌরসভার খলাছড়া গ্রামের বাসিন্দা কয়েস আহমদ(৪২)কে একটি মিথ্যা মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে বুধবার জকিগঞ্জ প্রেসক্লাব পরিবারের সদস্যবৃন্দ পৌরসভা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন অভিযুক্ত প্রবাসী কয়েস আহমদের বড় ভাই মস্তাক আহমদ মলাই মিয়া। তিনি বলেন, এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির সাথে তাদের পারিবারিক বিরোধ চলে আসছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই লন্ডন প্রবাসী কয়েস আহমদকে ষড়যন্ত্রমূলক একটি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে পারিবারিক ও রাজনৈতিকভাবে সম্মান ক্ষুন্ন এবং হয়রানী করা হচ্ছে। সুবিধাভোগী ও দুষ্ট প্রকৃতির কিছু লোক পৌরসভার কেছরী গ্রামের বাসিন্দা জনৈক নুরুল ইসলাম মানিককে প্রভাবিত করে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়-য়া একটি প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করা হয়েছে। সে মামলায় কয়েস আহমদ বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয় জকিগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্স ও পৌরসভার ভবন সংলগ্ন কয়েস আহমদের বাসা বাড়ির আঙ্গিনায় সিলেট জকিগঞ্জ সড়কের পাশে নির্মানাধীন একাধিক ভবনের শ্রমিকদের সামনে দিনে দুপুরে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার সাজানো ঘটনাটি অবাস্তব ও অযৌক্তিক। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে ২৯ জানুয়ারি ক্লাস শেষে বাড়ি ফেরার পথে ঐ প্রতিবন্ধী মেয়ে ও তার সঙ্গীরা একটি বরই গাছ থেকে বরই পাড়তে দেখে কয়েস আহমদ তাদের ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দেন। এ সময় কয়েস আহমদের স্কুল পড়-য়া পুত্র সন্তানও তার সাথে ছিল। এই সামান্য ঘটনাকে তিল থেকে তাল করে মিথ্যা ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত জকিগঞ্জ পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী শামসুদ্দিন বলেন, কয়েস আহমদকে কোনো দিনই কোনো খারাপ কাজে পাইনি। সঠিক তদন্ত হলে কয়েস আহমদ নির্দোষ প্রমাণিত হবেন আশা করি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুখলিসুর রহমান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ফারুক আহমদ, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর জোসনা খানম, উপজেলা স্বেচ্চাসেবকদলের আহ্বায়ক হাসান আহমদ, আবদুল করিম, কয়েস আহমদের চাচাত ভাই আতিকুর রহমান, আবদুল কাইয়ূম, খালাত ভাই মামুনুর রশিদ, প্রতিবেশী জিল্লুর রহমান, আবদুল আজিজ, ভাতিজা ফরহাদ আহমদ, মুনিম আহমদ প্রমুখ।