কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) রংপুর জেলা ও উপজেলা কমিটির আয়োজনে এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর (ডিএনসিআরপি),রংপুর এর সহযোগিতায় পোল্ট্রি সেক্টরে খাদ্য নিরাপদতা ও অভিযোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার রংপুর জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) বাবলু কুমার সাহা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় কার্যলয়ের উপপরিচালক (উপসচিব) খন্দকার মোহাম্মদ নূরুল আমীন, উপপরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা ডিএনসিআরপি এর উপপরিচালক মাসুম আরেফীন, রংপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: এএসএম সাদেকুর রহমান। সভায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগের ৮ জেলার সহকারী পরিচালকগণ ও ক্যাব রংপুর জেলা, মহানগর ও উপজেলাকমিটির সদস্যবৃন্দ সহ পোল্ট্রি সেক্টরের সাথে জড়িত সকল অংশীজন প্রতিনিধি যেমন- ফিডব্যবসায়ী, পোল্ট্রি শিল্পমালিক সমিতির সেক্রেটারী ও মুরগী বিক্রেতাগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন ক্যাব রংপুর জেলা কমিটির সভাপতি আবদুর রহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রংপুর ক্যাবের ফিল্ড কো অডিনেরট ইকবাল হোসেন। সভায় ক্যাব ও আইবিপি অন ফুড সেফটি গভর্নেন্স ইন পোল্ট্রি স্টোর প্রকল্পের কার্যক্রম তুলে ধরেন ক্যাবের প্রকল্পর সমন্বয়কারী রেজাউল করিম। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, অনেক সমস্যার পর আমরা দেশকে অনেকদুর এগিয়ে নিতে পেরেছি। পোল্ট্রি শিল্প অনেক উন্নত হয়েছে। তিনি বাজারের স্বাস্থ্যকর পরিববেশ বজায় রাখার জন্য সিটিকর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তবে নিরাপদ পোল্ট্রি তথা আমিষ সরবরাহের জন্য এই শিল্পের সাথে যারা জড়িত আছেন তাদের সকলের এগিয়ে আসতে হবে, তাহলে সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি সমাধান করা সম্ভব হবে। তিনি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এবং মৎস্য ও পশু সম্পদ আবনি ২০১০ সকল ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের জানানোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলার প্রাণি সম্পদ দপ্তর ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে জোড় তাগিদ দেন।