বাংলাদেশ ব্যাংক রংপুর শাখার সিনিয়র ডাটাএন্ট্রি কন্ট্রোল অপারেটর রোকসানা আফরোজ চুমকি ও তার নবজাতক শিশুকে হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতার ও লাশ উত্তোলন করে সঠিক ময়না তদন্তের দাবিতে রোববার (৯ ফেব্রয়ারী) রংপুর কাছারি বাজার এলকায় মানববন্ধন করেন নিহত রোকসানার পরিবার, বাংলাদেশ ব্যাংক এমপ্লয়ীজ অ্যাসোসিয়েশন (সিবিএ) রংপুর আঞ্চলিক কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ ও এলাকাবাসী। জানা যায়, ২৪ শে ডিসেম্বর অন্তসত্তা স্ত্রী রোকসানাকে সিজারের নামে দেশ ক্লিনিকে ভর্তিকরে মা ও শিশুকে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগে গত ৫ জানুয়ারী স্বামী বিডিআর পাবলিক স্কুলের শিক্ষক রাজু মিয়া ও চিকিৎসকসহ ৪ জনের নামে রংপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে নিহত রোকসানার মা শান্তি বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত লাশ উত্তোলন করে মামলার তদন্তের জন্য পিবিআই পুলিশকে দ্বায়িত্ব অর্পন করেন। তাই প্রশাসনের সহযোগীতা চেয়ে ন্যায় বিচরের জন্য দ্রুত লাশ উত্তোলন ও আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিহত রোকসানার মা শান্তি বেগম, খালু সহিদুল ইসলাম, ছোট বোন রহিমা আফরোজ, বাংলাদেশ ব্যাংক এমপ্লয়ীজ অ্যাসোসিয়েশন (সিবিএ) রংপুর আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি আবদুর মান্নান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সদস্য বাবলু, এলাকাবাসী ইব্রাহীম, জনি, পটু, আজিজার রহমান সহ সিবিএ সকল নেতৃবৃন্দ। এ বিষয়ে মা শান্তি বেগম জানান, ২০১৭ সালের ১২ মে রোকসানা আফরোজের সাথে বিয়ে হয় পীরগঞ্জ বড়দরগা ছোট মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল বারীর ছেলে বিডিআর পাবলিক স্কুলের শিক্ষক রাজু মিয়ার। বিয়ের পর হতে রোকসানকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত তার স্বামী। অন্তসত্তা রোকসানা আফরোজের আলট্রাসোনো রিপোটে সন্তান জন্মের সম্ভাব্য সময়সীমা ছিল চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারী। অথচ স্বামী রাজু মিয়া পরিকল্পানা করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাঃ রওশন আরা এর সাথে পরামর্শে করে আগাম ২৪ ডিসেম্বর স্ত্রী রোকসানাকে জোরপুর্বক সিজার করানোর জন্য নগরীর দেশ ক্লিনিকে ভর্তি করায়। পরদিন (২৫ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৯টারদিকে মেয়ে জামাই রাজু মিয়া মোবাইল ফোনে মা শান্তি বেগমকে জানান তার মেয়ে আর বেচে নেই। মৃত রোকসান লাশ তরিঘরি করে স্বামী রাজু মিয়ার গ্রামের বাড়ী পীরগঞ্জে নিয়ে গিয়ে দাফন করেন। কিন্তু নবজাতক শিশুর কোন হদিস পাননি মা শান্তি বেগম।