রংপুরের পীরগঞ্জে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে মুজিববর্ষ উদযাপনের অযুহাতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের ডালপালা পরিষ্কারের নামে গাছের সিংহভাগ কেটে সাবাড় করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টিএমএ মমিনের নির্দেশে ছোট বড় প্রায় শতাধিক গাছে বড় বড় ডাল এবং গাছের আগা এমনভাবে কাটা হয়েছে যে এতে গাছগুলো মরে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা মনে করেন। এ বিষয়ে গাছ রক্ষার দাবিতে ফুঁসে ওঠে এলাকাবাসী। নানা মহলে অবগত করার পরেও কোন প্রতিকার না পেয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকার এবং পীরগঞ্জ আসনের এমপি ড.শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে স্থানীয় লোকজন যোগাযোাগ করলে তিনি জানান,এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না তবে বিষয়টি আমি দেখছি মর্মে আস্বস্ত করেন। এদিকে গত সোমবারও দেদারছে গাছ কাটার কাজ অব্যাহত রাখা হলে এলাকাবাসী পরিষদ চত্ত্বরে সমবেত হয়ে গাছ কর্তন বন্ধ করার দাবি জানায়। এদিকে এ বিষয়ে ইউএনএ মমিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি গাছ কাটা চলবে মর্মে জানান। স্পিকার তাকে কিছু বলেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি যোগাযোগের কথা স্বীকার করে ফোন কেটে দেন। এদিকে এলাকাবাসী সমবেত হয়ে পরিষদ চত্ত্বরে গাছ কাটা বন্ধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। কর্মসূচি পালন শেষে এলাকাবাসী চলে গেলে পুলিশ পাহারায় আবার গাছ কাটার কাজ শুরু হয়। উল্লেখ্য পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে ফলজ, ভেষজসহ নানা প্রজাতির গাছের সমাহার ছিল। স্থানীয় একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে গাছে গাছে পাখির জন্য অসংখ্য নিরাপদ আশ্রয়স্থলের ব্যবস্থা করা হয়। গাছপালায় পরিবেষ্টিত মনোরম পরিবেশ ছিলো উপজেলা পরিষদে সেবা নিতে আসা হাজার হাজার মানুষের ক্লান্তি দূর করার আশ্রয়। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টিএমএ মমিন সরকারি বিধানের অজুহাতে মুজিববর্ষ উদযাপনে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার নামে সকল গাছপালা এমনভাবে কেটে ফেলছেন যে, এর ফলে পাখির আশ্রয়স্থল বিনিষ্ট হওয়াসহ পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে।এ বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে ইউএনও বলেন, “দাঁড়ি সেভ করলে যেমন হ্যা-সাম লাগে তেমনি গাছের ডালপালা কাটলে গাছের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পায়।” তার এ বক্তব্য বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে ধর্মপ্রাণ মুসলিম সমাজে। অনেকের মতে- তিনি এ কথা বলে সুন্নতকে তাচ্ছিল্য করেছেন। তিনি আরও বলেন যে, তিনি অফিস কে বন এবং বন কে অফিস বানানোর পক্ষে না। এদিকে বন বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন এভাবে গাছ কাটার কোন বিধান নেই। মোস্তাফিজুর রহমান রুসেল