সোনারগাঁয়ে সোমবার সকালে উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে অনুমোদন বিহিন যৌন উত্তেজক শরবত ও কয়েল উৎপাদনের দায়ে ১২ জনকে আটক করেছে র্যাব। অভিযানে প্রায় ৭,৩০০ বোতল যৌন উত্তেজক শরবত, বিপুল পরিমাণ ভেজাল কয়েল ও পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ১টি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করে র্যাব-১১ এর সদস্যরা।
গ্র্রেফতারকৃতরা হলো সুমন মোল্লা, রকিবুল ইসলাম, ফয়সাল আহম্মেদ, রাজু বেপারী, খায়রুল আলম, হাবু বেপারী, রাকিব হোসাইন, আবদুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম, তাহমীদ ইসলাম, আনোয়ার হোসেন ও রাশেদ গাজী।
র্যাব-১১ এর অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মোঃ জসিম উদ্দীন চৌধুরী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, গ্রেফতারকৃতদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানায় উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর এলাকায় অবস্থিত এম কে ফুডস ও এম এম কনজুমার নামে দুটি কারখানায় দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে অনুমোদন বিহিন যৌন উত্তেজক শরবত ও ভেজাল কয়েল উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছিল। এম এম কনজুমার দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে জা¤¦ু, গাংচিল, ইগলু, ম্যাক্স, নাইট মাস্টার ইত্যাদি বিভিন্ন খ্যাতিসম্পন্ন ব্রান্ডের নামে কয়েল তৈরী ও পাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি করে আসছে। এ ছাড়া এম কে ফুডস এর উৎপাদনকৃত যৌন উত্তেজক লায়ন ফুডস শরবতগুলো প্যারাসিটামল পাউডার, টেস্টি সল্ট, স্যাগারিন, এমপিএস, ব্যাফেন, এসএস পাউডার, সোডিয়াম পাউডার, সাইট্রিক এসিড, ঘাম, ঘন চিনি, সাধারণ চিনি, ফ্লেভার ও রং সহ মোট ১৬টি ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান দিয়ে তৈরী করা হয় যা জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এই অ-অনুমোদিত ভেজাল কয়েল ও যৌন উত্তেজক শরবত উৎপাদন করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে আসছে বলে গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। এভাবে কারখানা ২টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে যৌন উত্তেজক শরবত এবং ভেজাল কয়েল উৎপাদন করে জনস্বাস্থ্যের ও রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে আসছে। তিতাস গ্যাস কোম্পানীর টেকনিশিয়ানের প্রাক্কলনে দেখা যায় কারখানা ২টি দীর্ঘদিন ধরে প্রতি মাসে ৩০ লাখ ২৪ হাজার টাকার গ্যাস চুরি করে আসছে। পরে তিতাস গ্যাস কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ওই কারখানাগুলোর অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।