বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সংখ্যালঘু এক যুবতিকে ৫ বছর যাবত যৌন নির্যাতন করার অভিযোগে ইটভাটা মালিক ঠিকাদার মফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে যৌন নির্যাতনের শিকার ঐ নারী বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি ধর্ষনের মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মফিজুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মফিজুল ইসলাম ধানখোলা ইউনিয়নের জুগিন্দা গ্রামের সাহাজাত আলীর ছেলে।
নির্যাতিতা জানান,দারিদ্রতার কারণে মফিজুল ইসলামের ইট ভাটায় তার পিতা শ্রমিক হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে আসছে। মালিক শ্রমিকের সম্পর্কের কারণে মফিজুল ইসলাম প্রায় প্রতিনিয়ত আমাদের বাড়িতে যাতায়াত করতো। ঐসময় মফিজুল ইসলাম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ২১-১১-২০১৪ সাল থেকে যৌন নির্যাতন শুরু করে। প্রতিশ্রতি রাখতে না পারার কারণে মফিজুল ইসলামের সাথে কিছুটা দুরত্বের সৃষ্টি হয়। গত ০৬-০২-২০২০ ইং তারিখ রাতে আমাদের বাড়িতে এসে জোর পূর্বক যৌন নির্যাতন করে। আর যৌন নির্যাতনের কথা প্রকাশ করলে প্রান নাশের হুমকী প্রদান করেন। সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে মফিজুলের অনৈতিক দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয়েছি। শেষ পর্যন্ত নির্যাতন সইতে না পারার কারণে অবশেষে মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয়। গাংনী থানার ওসি মো: ওবাইদুর রহমান জানান, নির্যাতিতা নারী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে যার নং ১৩ তাং ১১-০২-২০২০ ইং। বুধবার আসামীকে আদালতে প্রেরন ও নির্যাতিতা নারীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হবে। কে এই মফিজুল ইসলাম : জুগিন্দা গ্রামের ইটাভাটা মালিক ও ঠিকাদার মফিজুল ইসলাম দারিদ্রতার কারণে সেই ছোট বেলা থেকে হাটে বাজারে পান বিড়ি বিক্রি করার পাশাপাশি শ্রমিক হিসেবে কাজ করেও সংসারে সহায়তা করছেন। এরপর বিভিন্ন ইটভাটায় খড়ি বিক্রি করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। পরবর্তীতে যৌথ ভাবে ইটভাটার ব্যবসা শুরু করেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দলের প্রভাব খাটিয়ে ঠিকাদারি ব্যবসা শুরু করে অল্প দিনেই বিপুল সম্পদ ও অর্থের মালিক বনে যান। অর্থ ও ক্ষমতার দাপটে শুরু হয় সংখ্যালঘু নারীর উপর যৌন নির্যাতন। সততা ও নিষ্টার সাথে যৌন নির্যাতনের মামলার তদন্ত ও বিচার কাজ শেষ করার দাবি স্থানীয়দের। পুলিশ হেফাযতে থাকায় মফিজুল ইসলামের এ বিষয়ে কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নী।