নেত্রকোনাস্থ দুর্গাপুরে ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধংশের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মৃত বিমল কর্মকারের পুত্র বিপ্লব কর্মকারের বিরুদ্ধে।
অভিযোগে জানাযায় পৌরসভাধীন ৫নং ওয়ার্ড বাগিচাপাড়ায় শত বছরের পুরোনো জলাশয়(পরিবেশ বান্ধব পুকুর)যা পদ্মপুকুর নামে পরিচিত। পুকুরটি দুর্গাপুর মৌজায় আর.এস ৭৬২ এক আর.ও.আর তথা এস.এ ৮৬৮ খতিয়ানভূক্ত ২৩২১ দাগের ৬১ শতাংশ ভূমি বিস্তৃত। শতবর্ষি দুর্গাপুরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যে ধারক-বাহক বলে মনে করছেন অনেকে। অবৈধ দখলে নেওয়ার জন্য পুকুরটি ২৬ জানুয়ারী ভোরে মাটিভরাট শুরু করলে স্থানীয় সাবেক পৌর চেয়ারম্যান মোঃ কামাল পাশা ইউএনও’কে মৌখিক ভাবে অবহিত করলে দিনবর ভরাট কাজ করা থেকে বিরত থাকে। ঐদিনই রাতের অন্ধকারে পুনরায় অসংখ্য ট্রাক্টর-লড়ির সাহায্যে মাটি ভরাট শুরু করলে ওই মোঃ কামাল পাশা ইউএনও বরাবর লিখিত আবেদন করেন এবং এর অনুলিপি দেন জেলা প্রশাসক বরাবর। উল্লেখ যে ২০০১-২০০২ অর্থ বছরের সরকারী অর্থায়নে পৌরসভা কতৃক গাইডওয়াল নির্মান করে পুকুরটি সুরক্ষিত করা হয়। ওই গাইডওয়াল ভেঙ্গে অভিযুক্ত বিপ্লব কর্মকার ঐ জায়গায় অবৈধভাবে মাটি ভরাট শুরু করে। জনসার্থে পরিবেশ বান্ধব সরকারী জলাশয়টি রক্ষার দাবী জানান এলাকাবাসী। এর পুর্বে প্রশাসনের কাজ থেকে ১বছরের নামে লিজ নিয়ে মৎসচাষ শুরু করলেও পরবর্তিতে সরকারের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা করে মাটি ভরাট করতে চাইলে তৎকালীন ইউএনও কামরুজ্জামান মিয়া বিগত ২১ ডিসেম্বর ২০১১ বাঁধা নিষেধ দিয়ে সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে ডিসি বরাবর প্রতিবেদন দাখিল পূর্বক রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুপারিশ করেণ। এ বিষয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানম বলেন তাদের কাগজপত্র থাকলে ভরাট করতেই পারে। অন্যদিকে পরবর্তী পদক্ষেপ হিসাবে ৯ ফেব্রুয়ারী এলাকাবাসী জলাশয় রক্ষার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।