মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের জায়গায় অবৈধভাবে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা কে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে উপজেলার শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার। বৃহস্প্রতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা কোর্ট মাঠ এলাকায় এই মানববন্ধন শেষে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ হাসান আলীর দ্রুত অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের পাশে নির্মাণাধীন মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ এর কাজ বন্ধ করে দেন ক্ষুব্ধ মুক্তিযোদ্ধারা। এ সময় বক্তব্য রাখেন সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ আবদুল ওদুদ দুদু, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল হায়দার, মোঃ মাদুদ হোসেন প্রমূখ।
সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ আবদুল ওদুদ দুদ বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের জন্য সোয়া ৮শতক জমি বরাদ্দ করা হয়। তার কিছু অংশে কমপ্লেক্স ভবণ নির্মাণ করা হয়েছে। আর অবশিষ্ট জায়গায় মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে মার্কেট নির্মাণসহ গাড়ী গ্যারেজ এর জন্য রাখা হয়েছে। কিন্তু নির্ধারিত জায়গায় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ না করে কমপ্লেক্স ভবণের জায়গায় অবৈধ ও বেআইনিভাবে উপজেলা প্রকৌশলী এই কাজ শুরু করেছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ হাসান আলী বলেন, মাননীয় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশনায় একই মন্ত্রনালয়ের অধীনে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভর জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা কেন এটা নিয়ে আন্দোলন করছে এটা আমার বোধগম্য নয়।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ নাসরিন বানু বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের পাশে স্মৃতিস্তম্ভ মুক্তিযোদ্ধাদেরই একটি কাজ। যদি না হয় তাহলে মুক্তিযোদ্ধাদেরই ক্ষতি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল ইসলাম শফিক বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় বলেন, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক না আসা পর্যন্ত আপাতত কাজ বন্ধ রাখার পরামর্শ দেন।