গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের ফুলহার গ্রামে ফুলহার কওমী মাদ্রাসার স্থানে স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা স্থাপনের পায়তারা করার অভিযোগ।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের ফুলহার গ্রামে আলহাজ¦ শুকুর আলী মন্ডল গ্রামে একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করার লক্ষে তার নিজস্ব সম্পত্তি ফুলহার মৌজার সি এস খং নং-৩০৪ আর এস খং নং-১৮৮ সাবেক দাগ ৫১৪৮ দাগে ২৫ শতক জমি বিগত ০২/০২/২০১৬ইং তারিখে ফুলহার দারুল ফোকান ক্বওমী মাদ্রাসা ও এতিমখানার নামে ১৮৪৪/১৬ নং দলিল মূলে ওয়াক্ফ করে দেয়। সেই থেকে প্রতিষ্ঠানটির অবকাঠামোসহ ৩জন শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে। এদিকে সরকার এবতেদায়ী মাদ্রাসা নজরে নিয়ে আসায় বিষয়টিতে একটি কুচক্রী মহল গোপনে রাতারাতি এবতেদায়ী মাদরাসা সৃজনের পায়তারা করছে।
সরেজমিনে দেখা দেখা গেছে ক্বওমী মাদ্্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওঃ মোঃ ইদ্রিস আলী ও ২৫ জন তালবে এলেম শিক্ষার্থী ও শিক্ষক পাওয়া যায়। তিনি বলেন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আমি দায়িত্ব পালন করে আসছি। এখানে পূর্বে কোন এবতেদায়ী মাদ্রাসা ছিল না বা নাই। হঠাৎ করে কিছুদিন পূর্বে রাতারাতি ১টি টিনশেড ঘর নির্মান করে এবতেদায়ী মাদ্রাসা স্থাপনের চেষ্ঠা চালাচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে।
অপরদিকে কথিত এবতেদায়ী মাদ্রাসায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায় একটি কক্ষে ৫জন শিক্ষার্থী অন্য কক্ষে কোন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক পাওয়া যায়নি। প্রধান শিক্ষক মাওঃ মোঃ সাহারুল ইসলাম নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিশেষ কারণে অন্য শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী আসতে পারেনি। এই মাদ্রাসাটি আমরা দীর্ঘদিন থেকেই পরিচালনা করে আসছি। অত্র মাদ্রাসার সভাপতি বলেন, যেহেতু আমি দুই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সেহেতু দুটি প্রতিষ্ঠান হোক এটি আমার প্রত্যাশা। গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে ক্বওমী মাদ্রাসা ভালোভাবে পরিচালিত হওয়ার কারণে ক্বওমী মাদ্রাসাটি টিকে থাকুক এটি গ্রামবাসী তথা এলাকাবাসীর চাওয়া।