ঝালকাঠির রাজাপুরে পার্শ্ববর্তী ঝালকাঠি সদর থানার পোনাবালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবুল বাসার খান আবু এর চোরাইকৃত অর্ধলাখ টাকার সরকারি শিশু গাছ পুলিশের সহায়তায় ‘স’ মিলে ফারাই করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার রাতে উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের বাদুরতলা বাজারে মোঃ মনিরউজ্জামান মল্লিক এর ‘স’ মিলে এ ঘটনা ঘটে। মিল মালিক মনিরউজ্জামান মল্লিক ও স্থানীয়রা জানায়, পোনাবালিয়া চেয়ারম্যানের পাঠানো বিপুল পরিমান চোরাই গাছ ‘স’ মিলে ফারাই করা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় মঠবাড়ি ওয়ার্ডের চকিদার মোঃ রফিক তার মিলে দেখতে আসে এবং এর সত্যতা পায়। মিল মালিক সাথে সাথে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা কামাল সিকদারকে বিষটি অবহিত করে। চেয়ারম্যান মিল মালিককে গাছ যেমন রয়েছে ঠিক তেমন রেখে মিল বন্ধ করার পরামর্শ দেয়। খবর পেয়ে রাজাপুর থানা পুলিশের এসআই মোঃ খোকন ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে যায় ও বিষয়টি রফাদফা করে পুনরায় ‘স’ মিল চালু করে ঐ চোরাইকৃত শিশু গাছ গুলো ফারাই করার নির্দেশ দেয়। মিল মালিক পুলিশের হুকুম পালন করতে গিয়ে ‘স’ মিল চালু করে গাছ ফারাই করতে থাকে। খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা উপজেলা প্রশাসনকে জানায় এবং ঘটনা স্থলে এর সত্যতা পায়। পরে থানা পুলিশের এসআই মোঃ খোকন নিজের দোষ ঢাকতে আবার ঘটনা স্থলে যায় এবং ফারাইকৃত গাছগুলো ট্রলারে নিয়ে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। আস্ত ৭ টুকরো গাছ এখনও মিলে রয়েছে। গাছ মিলে নিয়ে আসা চেয়ারম্যানের লোক মোঃ রিপন হাওলাদার জানায়, চেয়ারম্যান আবুল বাসার খান আবু আমাদের ট্রলারে করে ৬ টি মুল গাছ ৩৩ টুকরো করে মিলে ফারাই করতে পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে পোনাবালিয়া চেয়ারম্যান মোঃ আবুল বাসার খান জানায়, ঐ গাছ গুলো আমার নিজের বাগানের। আমি আমার লোকজন দিয়ে ‘স’ মিলে ফারাই করতে পাঠিয়েছি। স্থানীয় মিল মালিকদের দ্বন্ধের কারণে এ জামেলার সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এসআই মোঃ খোকন জানায়, খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে গাছ কাটা অবস্থায় ১ টুকরো ও আস্তো ৭ টুকরো গাছ পেয়ে জব্দ করে ইউএনও স্যারকে অবহিত করি। ঐ গাছ গুলো পোনাবালিয়া চেয়ারম্যান মোঃ আবুল বাসার খান তার লোকজন দিয়ে পাঠিছে বলে তিনি জানায়।