নাটোরের বড়াইগ্রামের দোগাছি এলাকায় বড়াল নদীতে বাঁশের তৈরী নড়বড়ে সাঁকোয় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এ অঞ্চলের সাতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ কমপক্ষে ৩৫ হাজার মানুষ। দীর্ঘদিনেও নদীতে একটি ব্রিজ না হওয়ায় স্থানীয়রা প্রতিনিয়ত এ সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হচ্ছেন।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলার দোগাছি, চুলকাঠি, মনপিরীত, ঢুলিয়া, মাঝগ্রাম ও লক্ষ্মীচামারী গ্রামের লোকজন এ পথে চলাচল করে। কিন্তু নদীতে সেতু না থাকায় যাতায়াতসহ মালামাল আনা নেয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের। দীর্ঘদিনের দাবি সত্ত্বেও নদীতে একটি ব্রিজ না হওয়ায় পারাপারের জন্য এসব গ্রামের লোকজন বছর দুয়েক আগে স্বেচ্ছাশ্রমে ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রায় ২শ’ ফুট দীর্ঘ বাঁশের সাঁকো তৈরি করেছিলেন। সময়ের পরিক্রমায় সাঁকোটি পুরনো ও জরাজীর্ণ হয়ে খুঁটিগুলো ক্রমেই দুর্বল ও ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে উঠেছে। কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এ সাঁকো দিয়েই এ এলাকার মানুষজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের নিজেদের জমিতে উৎপাদিত কৃষিপণ্য মেরিগাছাসহ পাশের বিভিন্ন হাটবাজারে নিয়ে বিক্রি করেন। এছাড়া বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ঝুঁকি নিয়ে এ সাঁকো পার হয়ে মশিন্দা ও মেরিগাছা প্রাথমিক বিদ্যালয়, মেরিগাছা হাইস্কুল, লাইসিয়াম একাডেমি, পাঁচবাড়িয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, খলিসাডাঙ্গা কলেজ ও ধানাইদহ ফাজিল মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করছে। এতে যে কোন সময় বাঁশের সাঁকোটি ভেঙ্গে প্রাণহানীসহ বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এ ব্যাপারে মেরিগাছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শেফালী খাতুন বলেন, সাঁকোটির বাঁশের খুঁটি অকেজো হয়ে গেছে। বাঁশের চারাটের (পাটাতন) মাঝে মাঝে ভেঙ্গে গেছে। লোকজন উঠলেই সাঁকোটি দোলে। এতে যে কোন সময় সাঁকোটি ভেঙ্গে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এলাকাবাসীর স্বার্থে এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা দরকার। উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রহিম বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে সেখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের চেষ্টা করা হবে।