নড়াইলের কালিয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় মহিলাসহ ৭জন আহত হয়েছে। এ সময় ১টি বাড়িসহ ৩টি দোকানঘর ভাংচুর ও লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (৪ মার্চ) ভোর ৬টার দিকে উপজেলার পুরুলিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৪জনকে আটক করেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
প্রতাক্ষ্যদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের কুবাদ মোল্যার নেতৃত্বে তার সমর্থিত একদল দুবৃত্ত পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সকাল ৬টার দিকে পুরুলিয়া গ্রামের আনিস শেখের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এ সময় আনিস ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে ছিলেন। আনিসকে না পেয়ে দুর্বৃত্তরা তার টিনের ঘরের চালা, দরজা ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এরপর তারা আনিস শেখের মালিকাধীন পুরুলিয়া মোড়ের দোকানঘর (ঈগল পরিবহনের কাউন্টার), মিথিল মোল্যার মোবাইলের দোকান ও হেকমত মোল্যার পোল্ট্রী মুরগীর দোকানঘর ভাংচুর করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা মিথিল মোল্যার দোকানে থাকা ১টি কমপিউটার ও টিভিসহ অন্যান্য মালামাল ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে উপজেলার পুরুলিয়া গ্রামের আনিস গ্রুপের আনিস শেখ (৪৩), তার স্ত্রী রহিমা বেগম (৩৩), সামিউল শেখ (১৮), আব্বাস ভূইয়া (৪০), ইমরান শেখ (৩০), সোহরাব শেখসহ (২৮) অন্তত ৭জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়ার পর নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জড়িত সন্দেহে উপজেলার পুরুলিয়া গ্রামের ইমদাদ, দাদনতলা গ্রামের সেলিম ফকির, লক্ষীপুর গ্রামের রমজান মোল্যা ও রিয়াজ শেখকে আটক করেছে।
এ প্রসঙ্গে আনিস শেখের আহত স্ত্রী রহিমা বেগম জানান, ‘কুবাদ মেম্বারের নেতৃত্বে তার সমর্থিত একদল দুবৃত্ত অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভোর ৬টার দিকে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় আমার স্বামী আনিস শেখ ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে থাকায় প্রাণে বেঁচে গেছেন। তারা আমার বাড়ী ও ঘরের সব আসবাপত্র ভাংচুর করেছে। তারা আমার জামাইকেও মেরে তার কাছে থাকা নগদ দুই লক্ষ টাকা ও মেয়ের সোনার নেকলেস ও কানের দুল কেড়ে নিয়ে গেছে। যাবার সময় আমার মেয়ে-জামাইর মোটর সাইকেল ও ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে।’
কালিয়া থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’