কিশোরগঞ্জের বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশ টেলিভিশনের ১ম শ্রেণীর সুরকার ও সংগীত পরিচালক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সংগীত প্রশিক্ষক সুমন আহম্মেদ রঞ্জনের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও এতিমদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জে সাংস্কৃতিক ইতিহাসে অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র সুমন আহম্মেদ রঞ্জন ২০১৪ সালের ৭ মার্চ পৃথিবীর মোহমায়া ছেড়ে পাড়ি জমান অনন্তের পথে। দিনটি স্মরণে কলম ২৪ ডট কম শনিবার (০৭ মার্চ) বাদ জোহর কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে।
ওস্তাদ সুমন আহম্মেদ রঞ্জন জেলার অন্যতম সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘লোকজ সাংস্কৃতিক সংস্থা’র প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। কিশোরগঞ্জ পৌরসভার গাইটাল শ্রীধরখিলা এলাকার বাসিন্দা সুমন আহম্মেদ রঞ্জন ওস্তাদ অমর চন্দ্র শীল, ওস্তাদ অখিল ঠাকুর, ওস্তাদ পরেশ ভট্টাচার্য্য, ওস্তাদ মিথুন দে, ওস্তাদ জমিদার বিরাজ মোহন রায় প্রমুখের কাছে সংগীত তালিম নেন।
১৯৮৫ সালে তিনি বাংলাদেশ বেতারে সংগীত পরিবেশন শুরু করেন। ২০০৮ সালে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে সুরকার ও সংগীত পরিচালক হিসেবে তালিকাভূক্ত হন। তাঁর লেখা ও সুর করা অসংখ্য গান বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার হয়েছে। জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে তাঁর নিজের লেখা ও সুরারোপ করা গানের একক সংগীত সন্ধ্যাসহ তাঁর সরব পদচারণায় মুখর ছিল কিশোরগঞ্জের সঙ্গীতাঙ্গণ।
বিডি চ্যানেল ২৪ এর প্রধান সম্পাদক আহমেদ ফরিদ বলেন, কিশোরগঞ্জের সঙ্গীতাঙ্গণে ওস্তাদ সুমন আহম্মেদ রঞ্জনের চলে যাওয়াতে যে শূণ্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা আজও পূরণ হয়নি।
লেখক ও গবেষক মু.আ লতিফ বলেন, একজন কিংবদন্তী শিল্পীর নাম হচ্ছে সুমন আহম্মেদ রঞ্জন। তিনি একজন গুণী এবং ওস্তাদ শিল্পী ছিলেন। কিশোরগঞ্জের সঙ্গীতাঙ্গণে তিনি বিরাট অবদান রেখে গেছেন। তিনি নজরুল, রবীন্দ্র এবং অন্যান্য অঙ্গনের গান করেছেন তবে লোক সংগীতে তিনি ছিলেন একজন পারদর্শী সঙ্গীতজ্ঞ। তিনি নিজে যেমন গুনী শিল্পী ছিলেন তার অনুসারীও তিনি তৈরি করতে পেরেছিলেন। এ সমস্ত শিল্পীরা বর্তমানে কিশোরগঞ্জের সঙ্গীতাঙ্গণকে আলোকিত করে চলেছে। তিনি শিল্পী ও সঙ্গীতাঙ্গণে তার কাজের মাধ্যমে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।