লক্ষ্মীপুরে অবৈধভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের শত কোটি টাকার জমি বেদখল করে রেখেছে ভূমিদর্স্যরা। নির্মিত হচ্ছে ভবন ও দোকানপাট। অভিযোগ উঠেছে পানি উন্নয়নবোর্ড উচ্ছেদ অভিযানে না গিয়ে তারা অর্থ লেনদেনে দখলদারদের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় উচ্ছেদ কার্যক্রম সম্ভব হয়ে উঠেনি ১০ বছরেও। এর ফলে সড়কের পাশের সাধারণ মানুষের চলাচলা পথ বন্ধ করে গড়ে উঠে দোকানপাট সে সাথে খালের উপর অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠার কারণে বন্ধ হয়ে পড়ছে পানি নিস্কাশনসনের ব্যবস্থাও।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফরুক আহমেদ বলছেন,অবৈধ দখলের বিষয়টি তাদের জানাআছে, এ ছাড়া দখল হয়েছে আরো চর লরেঞ্চ তোরাপগঞ্জ বাজার,রামগতি ,রহমতখালি ও মজুচৌধুরীর হাট এলাকায় সরকারি জমি। তবে এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে অবৈধ দখলদারদের তালিকা করা হচ্ছে। তার পর নোটিশ দেওয়াসহ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, লোকদেখানো অভিযান নয়,সত্তিকার অর্থে দখলকৃত সম্পত্তি উচ্ছেদ করে সড়কের পাশের জনগনের চলাচলের পরিবেশ ও পানি নিস্কাশনসনের ব্যবস্থা করা বর্ষার আগে তা জরুরী।
তাদের অভিযোগ,রামগতি-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের দু’পাশ চরলরেন্স বাজার সড়কের পার্শ্বে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল করে সাধারণ মানুষের যাতায়েতের বাধা সৃষ্টিকরে সড়কে বালু ফেলে দোকানের সামনে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সমবায় মার্কেট। দখল করা হয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি।
কমলনগর চরলরেঞ্চ এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম জানান, জমিটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি। কতিপয় দুস্কাৃতিকারি লোক যায়গাগুলো দখলে মুক্তিযোদ্ধা সমবায় মার্কেট সাইবোট টানিয়ে দখলে ব্যবহার করছে। মুক্তিযোদ্ধারা কারো জমি অবৈধভাবে দখল করেনা। দখলকারী সবাই মুক্তিযোদ্ধা না,তবে দু একজন থাকতে পারে। তবে দ্রুত অবৈধ দখল উচ্ছেদ করার জন্য প্রশাসনের সহোযোগিতা কামনা করছেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান,জমি ও দোকান নির্মাণে মুক্তিযোদ্ধা সমবায় মার্কেট যে সাইবোর্ড টােিনয়েছে তাতে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হয়েছে। এ ছাড়া দখলে সড়কের উপর বালু রাখায় গাড়ী ও সাধারণ মানুষের চলাচলের অসুবিধা দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন সড়ক দিয়ে মানুষ চলাচলে চোখেঁ পড়ে বালু। সড়কে গাড়ি চলাচলে নানা প্রকার সৃষ্টি করা হচ্ছে বাধা।
তাছাড়া সরকারি খাল দখল করে দোকান তুলায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পানি নিস্কাশন। পুরো খাল যাতে দ্রুত ভরাট হয় তার জন্য ফালানো হচ্ছে ময়লা আবর্জনা। খালের পাশ দিয়ে শিক্ষার্থীরা চলে বাতাসে ছাড়াচ্ছে নানা প্রকার দুরগন্ধ।এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারির যোগসাজসের কারণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের শত কোটি টাকার স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম ১০ বছর ধরে বন্ধ থাকায় লক্ষ্মীপুরের আঞ্চলিক মহাসড়কের করইতলা বাজার,রায়পুর,সদর মজুচৌধুরীর হাটসহ এর আশপাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের শত কোটি টাকার জমিগুলো দখল করে দোকানঘর,মার্কেট নির্মান করে ব্যবসা শুরু করেছেন কেউ কেউ।সে সাথে পানি নিস্কাশনের খালগুলো দখল করে প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমিদস্যূরা।
কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাস্টার নুরুল আমিন জানান,এর আগেও দলীয় পরে এখন মুক্তিযোদ্ধার সমবায় মার্কেট সাইনবোর্ড ব্যবহার করে সরকারি জায়গা দখল প্রকৃয়াটি অন্যায় ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুর্ণ করা হচ্ছে দখল কর্মকান্ডে। দখলকারীরা মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না। কেউ যদি দখল করে থাকে তার নিজের স্বার্থের জন্য দখলে দলীয় সাইনবোর্ড ব্যবহার করছেন। তিনি আরো জানান, চর লরেঞ্জ বাজারে অবৈধভাবে দোকান পাট নির্মাণের ফলে খাল ও রাস্তাঘাটের সমস্যা হচ্ছে নানা প্রকার। বাজারের সৌন্দয্য রক্ষার্থে দ্রুত অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা জন্য প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেছেন তিনি।