নড়াইলে স্বাভাবিক প্রসবসেবা জোরদারকরণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সোমবার (৯ মার্চ) দিনব্যাপী এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
নড়াইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচক ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক আবদুস সালাম (যুগ্মসচিব), খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক রাশেদা সুলতানা, জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা, সিভিল সার্জন ডাক্তার আবদুল মোমেন, জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামসুল আলম, ডাক্তার মনোয়ার হোসেন তাপস, ডাক্তার আসাদণ্ডউজ-জামান টনি, রফিকুল ইসলাম খান, সুব্রত কুমার, জয়নাল হক, আবদুল মান্নান, প্রশান্ত কুমার মল্লিক, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এনামুল কবির টুকু, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তোফায়েল মাহমুদ, মাইজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, পরিবার কল্যাণ কর্মী সুলতানা পারভীন প্রমুখ।
আলোচকরা, ২৪ ঘণ্টাই স্বাভাবিক প্রসবসেবা বিষয়ে জোর দেন। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবকরণে নিরুৎসাহিত করেন। সিজারিয়ান বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করলে মায়ের শারীরিক ক্ষতি হয়। ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েন। অনেক সময় মা ও শিশুর মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব না করার জন্য বাবা-মা, স্বামী-স্ত্রীসহ পরিবারের সকলকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান তারা।
আলোচকরা আরো বলেন, ক্লিনিকে ভর্তি মানেই সিজারিয়ান বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব। এক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন হতে হবে। দেশে বেশি সিজারিয়ান বাচ্চা প্রসবের জন্য ক্লিনিককে দায়ী করেন বক্তারা। আর বেশির ভাগ মানহীন ক্লিনিকে মা ও নবজাতকের মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়। এসব ক্লিনিকে ভালো চিকিৎসকও পাওয়া যায় না।
কর্মশালায় সদর উপজেলা পরিবার কল্যাণ সহকারী, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক, উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত নারী মেম্বার, শিক্ষক ও সাংবাদিকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের (ঢাকা) এমসিএইচ সার্ভিসের আয়োজনে এবং সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের বাস্তবায়নে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।