নড়াইলের লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বদর খন্দকারকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল শিকদার(৪৮)কে গ্রেফেতার করেছে পুলিশ। বুধবার(১১ মার্চ) গভীর রাতে ঢাকার ধানমন্ডি থানার জিকাতলা ইবনেসিনা হাসপাতালের সামনে থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার(১২ মার্চ)সকালে তাকে লোহাগড়া থানায় আনা হয়। এদিকে, আটক নজরুল শিকদার সহ সকল আসামীদের ফাঁসির দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় থানা গেটের সামনে মানববন্ধন করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও বদর চেয়ারম্যানের পরিবার।
লোহাগড়া থানার ওসি মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মিল্টন কুমার দেবদাস এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ধানমন্ডি থানা পুলিশের সহযোগীতায় জিকাতলা থেকে নজরুল শিকাদারকে গ্রেফতার করে। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
সূত্র জানায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ বিবিধ বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার প্রতিপক্ষের সাথে বদর খন্দকারের বিরোধ চলছিল। গত ২৪ ফেব্রুয়ারী বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে চরবকজুড়ি গ্রামের খন্দকার ময়ের আলীর ছেলে লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা বদর খন্দকার নিজ ইটভাটা থেকে মোটরসাইকেলে করে নিজ বাড়িতে ফেরবার পথে ৯৫ নং টিচরকালনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা চেয়ারম্যানের গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হাত-পা বিচ্ছিন্ন করে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেবার পথে তার মৃত্যু হয়।
হত্যাকান্ডের পরে নিহত বদর খন্দকারের স্ত্রী নাজনীন বেগম বাদি হয়ে লোহাগড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শিকদার নজরুল ইসলাম, লোহাগড়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারন সম্পাদক ফরিদ শেখ, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল আজাদ সুজন সহ ১৬জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনের নামে ২৫ ফেব্রুয়ারী মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৮।