নওগাঁর রাণীনগরের সরকারী পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী (ধর্ম) শিক্ষক আবদুস সোবহান মৃধা এর বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকুরীর ঘটনা তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ঠ অধিদপ্তর। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মোরশেদা বানু গত ৮ ফেব্রুয়ারী সনদগুলো যাচাইপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রীসহ ১২টি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ঠ অধিদপ্তর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
বিভিন্ন দপ্তরে দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,রাণীনগর সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক আবদুস সোবহান মৃধা জাল সনদপত্র দিয়ে চাকুরী করছেন। অভিযোগে বলা হয়,তার জন্ম তারিখ থেকে দাখিল পাশের সময়সীমা মাত্র ১৩ বছর। আর মাত্র ১৩ বছর বয়সে আবদুস সোবহান দাখিল পাশ দেখান। এ ছাড়া সনদটি ঘোষা-মাজা রয়েছে। তাছাড়া রাজশাহী বিশ্ব বিদ্যালয় বেগম রোকেয়া হলে শুধু মাত্র ছাত্রীদের জন্য হলেও তিনি ছাত্র হিসেবে (পুরুষ) কিভাবে ওই হল থেকে ইসলামি ষ্টাডিস বিষয়ে দ্বিতীয় শ্রেনীতে উত্তীর্ণ হয়ে স্নাতক কলা (সম্মান) পাশের সনদপত্র পেয়েছেন তা নিয়ে চরম সন্দেহ হওয়ায় তার সনদগুলো যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মোরশেদা বানু মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী,স্থানীয় সংসদ সদস্য,মহাপরিচালক,দূর্নীতি দমন কমিশন রাজশাহী অঞ্চল,জেলা প্রশাসক,জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ ১২টি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরিচালক,মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা,রাজশাহী অঞ্চল,রাজশাহীকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার শিক্ষা মন্ত্রনালয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সরকারী মাধ্যম শাখা।
রাণীনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল জলিল বলেন,সরকারী পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ধর্ম) আবদুস সোবহান এর বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকুরীর অভিযোগটি পরিচালক,মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা,রাজশাহী অঞ্চল,রাজশাহীকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং সদয় অবগতির জন্য প্রেরিত একটি পত্র আমি পেয়েছি। তবে কবে নাগাদ তদন্ত হবে তা পত্রে বলা হয়নি।