লালমানিরহাটের আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ি ইউনিয়নের বাদিয়ারচর গ্রামে টর্নেডোয় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকারি ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। তবে চাহিদার তুলনায় সরকারি সহায়তা খুবই অপ্রতুলব বলে গ্রামবাসীর অভিযোগ। টর্নেডোয় ক্ষতিগ্রস্ত ৩৮টি পরিবার পেয়েছে ২ হাজার করে টাকা ও ২০ কেজি করে চাল। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ৮টি পরিবারকে দেওয়া হয়েছে ১৪ হাজার করে টাকা ও ৩০ কেজি করে চাল।
বাড়ি-ঘর মেরামত করতে কেউ কেউ চড়া সুদে ঋণ নিয়েছেন। অধিকাংশ পরিবারের দিন কাটছে খোলা আকাশের নিচে।
শুক্রবার (১৩ মার্চ) সকালে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৫৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ ছাড়া আদিতমারী উপজেলা প্রশাসন বরাদ্দ দিয়েছে এক লাখ ৩২ হাজার টাকা ও শুকনো খাবার।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক কুদরত আলী ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমি দুই হাজার টাকা ও ২০ কেজি চাল পেয়েছি। এই টাকায় বাঁশ-কাঠ কিনতে পারিনি। অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করছি।
ক্ষতিগ্রস্থ জরিনা বেগম ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, টর্নেডোয় চারটি ঘর সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে। তিনি আজ ‘সরকারের পক্ষ থেকে ১৪ হাজার টাকা ও ৩০ কেজি চাল পেয়েছেন। কিন্তু এটা খুবই সামান্য। চড়া সুদে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ঘর মেরামত করছি।
আদিতমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, টর্নেডোয় ক্ষতিগ্রস্তরা যেন সরকারিভাবে আরও সাহায্য সহযোগিতা পান সে চেষ্টা করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনসুর উদ্দিন ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর জন্য এটাই শেষ ত্রান নয়, এরপরেও সরকারের পক্ষ থেকে ঢেউ টিন দিয়ে সহায়তা করা হবে। এজন্য ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় সাহায্য চেয়ে সরকারের কাছে আরও বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।