বড়াইগ্রামের কায়েমকোলা গ্রামে নিম্নমানের ইট খোয়া ও বালু দিয়ে পাকা রাস্তা তৈরীর অভিযোগ উঠেছে। যথাযথ মান বজায় রেখে রাস্তা নির্মাণের দাবীতে এলাকাবাসী মানববন্ধন করার পর উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী কাজ করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু ঠিকাদারের লোকজন নামকা ওয়াস্তে রাস্তার একটি অংশ এবং রাস্তার পাশে স্তুপ করে রাখা কিছু খোয়া সরিয়ে নিয়েছে। তবে পুরো রাস্তা জুড়েই নিম্নমানের খোয়া, ফাঁপা পিকেট ও অপর্যাপ্ত বালু দিয়ে রাস্তাটি সংস্কার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
জানা যায়, উপজেলার জোয়াড়ী ইউনিয়নের কায়েমকোলা পূর্বপাড়া কবরস্থান থেকে কায়েমকোলা স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদরাসা পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তা পিচ ঢালাইয়ের জন্য ৭০ লাখ টাকা ব্যায়ে মেসার্স ইসলাম কনস্ট্রাশন বরাদ্দ পায়। পরে সাব কন্ট্রাক্ট নিয়ে ঠিকাদার সোহেল কাজটি করছেন। সম্প্রতি রাস্তাটির কাজ শুরু হলে নিম্নমানের ইট খোয়া ও বালি ব্যবহার করায় স্থানীয়রা মানববন্ধন করাসহ কাজে বাধা দেন।
কিন্তু তাদের বাধা অমান্য করে ঠিকাদারের লোকজন অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তার কাজ করছেন। এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বালু না দেয়াসহ পুরো রাস্তা জুড়ে তিন নম্বর ইটের খোয়া ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে ওয়ার্ক অর্ডারে না থাকলেও রাস্তার কায়েমকোলা মাদরাসা এলাকায় আগের এইচবিবি কাজের পুরনো ইটও ভেঙ্গে খোয়া করে এ রাস্তায় ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী অভিযোগ করলে সম্প্রতি উপজেলা প্রকৌশলী ও উপজেলা চেয়ারম্যান রাস্তা পরিদর্শনে গিয়ে কাজের মান দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে নিম্নমানের খোয়া সরিয়ে যথাযথ মান বজায় রেখে কাজের নির্দেশ দেন। কিন্তু ঠিকাদারের লোকজন কায়েমকোলা মাদরাসা এলাকা থেকে সামান্য কিছু এবং রাস্তার পাশে স্তুপ করে রাখা নিম্নমানের কিছু পরিমাণ খোয়া সরিয়েই দায়িত্ব শেষ করেছেন।
এ ব্যাপারে জোয়াড়ী ইউপি চেয়ারম্যান চাঁদ মাহমুদ বলেন, রাস্তাটির পশ্চিম অংশে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে এলজিএসপি’ প্রকল্পে ১১শ ফুট জায়গা এইচবিবি করা ছিলো। সেসব পুরনো ইট এ রাস্তায় ব্যবহার কথা না। কিন্তু ঠিকাদারের লোকজন সেগুলোও খোয়া বানিয়ে রাস্তায় ব্যবহার করেছে।
কায়েমকোলা গ্রামের আবদুর রাজ্জাক ও ওয়াজেদ আলী জানান, খালের পাশে প্যালাসাইট দেয়ার দরকার থাকলেও দিচ্ছে না। তাছাড়া মানহীন সামগ্রী দিয়ে রাস্তা করা হচ্ছে। এতে অল্প দিনের মধ্যেই রাস্তা ভেঙ্গে যাবে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, আমি অভিযোগ পেয়ে রাস্তাটি পরিদর্শন করেছি। রাস্তায় অত্যন্ত নিম্নমানের খোয়া ও কালো ফাঁপা পোড়া ইট ব্যবহার করা হয়েছে। এভাবে কাজ করা হলে অল্পদিনেই রাস্তা ভেঙ্গে যাবে। ঠিকাদার সোহেল রানার কাছে জানতে চাইলে তিনি ছোট খাটো কিছু সমস্যা ছাড়া নিয়মানুযায়ী কাজ হচ্ছে বলে দাবী করেন।
উপজেলা প্রকৌশলী আবদুর রহিম বলেন, কিছু জায়গায় খোয়ার মান খারাপ ছিলো, সেগুলো ঠিকাদার সরিয়ে নিয়েছে। যথাযথভাবে রাস্তা করার জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।