কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার হেসাখাল ইউনিয়নের উরুক চাউল গ্রামের লিটন একই সম্পত্তি বারবার কবলা দিয়ে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উরুক চাউল গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে লিটন একই গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে মহিন উদ্দিনের নিকট উরুক চাউল মৌজায় হালে ৬২৩ দাগে ১১ নভেম্বর ১৩ইং সালে ৫ শতক জমি বিক্রি করে। ওই দাগে একই গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান মাহফুজ মোল্লা থেকে মহিন উদ্দিন ১৫ শতক জমি ক্রয় করেন। একই দাগে সাড়ে ৪ শতক জমি লিটন প্রতারণা করে ৩০ মার্চ ১৫ইং সালে তার নাবালক সন্তানের নামে দলিল করে দেয়, যাহার দলিল নং ৩৪০১/১৫। একই জমি ১দিন পর ৩১ মার্চ ১৫ইং মহিন উদ্দিনের নিকট দেড় শতক ও ০৩ এপ্রিল ১৬ ইং আধা শতক জমি চাপ কবলায় বিক্রি করে দেয়। ৩১ মার্চ ১৬ইং একই গ্রামের মাকসুদের নিকট ১ শতক জমি বিক্রি করে। মহিন উদ্দিন প্রবাসে থাকা অবস্থায় জানতে পারে লিটন তার কাছে বিক্রিত জমি কবলা দেয়ার একদিন আগে তার নাবালক সন্তানদের কবলা করে দেয়। এ ঘটনার সত্যতা জানতে লিটনকে ফোন করলে সে ঘটনা অস্বীকার করে। সমাজ প্রতিদের নিয়ে সালীশ বৈঠক বসলে লিটন ঘটনা স্বীকার করে। পরে ১৭ এপ্রিল ১৭ইং আদালত থেকে নাবালকদের জমি কবলা দেয়ার আদেশ নামা নিয়ে আসেন। সে পূর্বের দলিল বাতিল না করে মহিন উদ্দিনের নিকট ২১ জুলাই ১৯ ইং ৩ শতক জমি বিক্রয় করেন। ওই সম্পত্তি বিএস নকশায় ২৪ শতক। সড়কে নিয়ে যায় দেড় শতক। বর্তমানে লিটন গং এলাকার কিছু লোকের যোগসাজশে বিক্রিত সম্পত্তি পুনরায় অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করছে।
গত মঙ্গলবার আবদুল জলিলের বড় ছেলে মহিন উদ্দিনের বড় ভাই আলাউদ্দিন মির্জা ও মাকসুদুর রহমান সম্পত্তি বুঝিয়ে দেয়ার দাবী করলে তাদের উপর দেশীয় ধারালো অস্র-শস্্র নিয়ে হামলার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও সমাজ প্রতিদের নিয়ে শালিস বৈঠক বসার সিদ্ধান্ত হয়। পরে তালবাহানা করে আবার তারিখ পরিবর্তন করে। এ ব্যাপারে জমির ক্রেতারা জমির দখল বুঝে পেতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।