নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ, নদী বাংলাদেশের প্রাণ। সেই নদীর গুরুত্ব অনুধাবন করে নদী বাচাঁতে একটি মহৎ উদ্যোগ গ্রহন করেছেন ফরিদপুর সরকারী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের রসায়ন শিক্ষক মো. নুরুল ইসলাম “ফরিদপুর বাসীর প্রিয় নুরুল স্যার”। প্রতি মাসে একটি ভালো কাজ করার সেই নুরুল স্যার রোববার সকালে ফরিদপুরের পদ্মাপাড়ে “দয়া করে নদীতে কেউ প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলবেন না, নদী না বাচঁলে আমরা বাচবো নাঁ, নদী বাঁচলে আমরা বাঁচবো” এই শ্লোগান সম্বলিত দুটি স্থায়ী বিল বোর্ড স্থাপন করেছেন। মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ও নদীর দূষণ রক্ষার্থে তিনি ফরিদপুরের ধলার মোড় পদ্মানদীর পাড়ে ১টি ও ভাজন ডাঙ্গা ভুঁইয়া বাড়ীর ঘাট পদ্মানদীর পাড়ে ১টি বিলবোর্ড স্থাপন করেছেন। এ বিষয়ে শিক্ষক নুরুল ইসলাম জানান, এদেশের নদণ্ডনদী মিশে আছে আমাদের প্রাণের সঙ্গে। তাই যেকোনো মূল্যে নদীর অস্তিত্ব ধরে রাখতে হবে।পলিথিন-প্লাস্টিক ও অপচনশীল বর্জ্য অবাধে ফেলা হচ্ছে নদীতে। বিল বোর্ড স্থাপনের মাধ্যমে জনগনকে সচেতন করতে আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা, যাতে নদীতে প্লাস্টিক জাতীয় অপচনশীল বর্জ্য কেউ না ফেলে। তিনি বলেন, শুধু সরকারি এবং বেসরকারি প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলেই হবে না সাধারণ জনগণকেও নদী রক্ষায় সচেতন ও সোচ্চার হতে হবে। দেশকে বাঁচাতে হলে এর কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষক নুরুল ইসলাম আরো জানান, এবছর সকল ভালো কাজ মুজিব বর্ষ উপলক্ষে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছি। রোববার বিউটিফুল ফরিদপুরের ব্যানারে সচেতনতা মুলক এই বিলবোর্ড স্থাপন কালে তার ছাত্র অরিন্দম ঘোষ, লাহিন মুনকার, ফারহাতুল ইসলামসহ গনমাধ্যম কর্মী ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষক নুরুল ইসলাম ফরিদপুর শহরের কমলাপুর লালের মোড় এলাকার বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা ফকির আবদুর রহমানের ছেলে। তিনি বিবাহিত এবং এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক।
নুরুল ইসলাম জানান, অনেক দিনের স্বপ্ন সমাজের জন্য কিছু করা। প্রতিমাসে অন্তত একটি ভালো কাজ নিজের অর্থায়নে আমি করতে চাই। এ লক্ষ্যেই এ উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।
এইসব ভালো কাজের অংশ হিসেবে আগেও তিনি রিক্সা চালকদের মধ্যে সকালের নান্তা বিতরণ করেছেন, রিক্সা চালক ও ভিক্ষুক মিলে অর্ধশত ব্যাক্তিকে দুপুরে চাইনিজ খাইয়েছেন, দুঃস্থ্যদের মাঝে সেমাই, চিনি ও গুড়া দুধ বিতরণ করেছেন, মাদ্রাসায় ছাত্রদের সহযোগিতা করা, এক বৃদ্ধার ঈদের যাবতীয় খরচ বহন করেছেন, শহরে রোপন করেছেন ২০টি কৃষ্ণচূড়া ও রাধাচূড়ার চাড়া এ ছাড়া শহরের বিভিন্ন জায়গায় রোপন করেছেন ১ হাজার ১শতটি তালের বীজ।
তিনি বলেন, প্রতিমাসে একটি করে ভালো কাজ করবেন। তা হতে পারে গাছ রোপন, দরিদ্র কোন শিক্ষার্থীর ভতির ব্যবস্থা করা, অসহায় দুঃস্থ্য নারীর পাশে দাঁড়ানো।