নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসুচীর আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে সুলভ মূল্যে চাল বিক্রির কার্ড এখন ধনী মানুষের পকেটে। গরিব ও অস্বচ্ছলদের জন্য সরকারের দেয়া এ কর্মসুচীর আওতায় অনেক ধনী শ্রেনীর লোকজনও এসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হাসানের বিরুদ্ধে ধনী মানুষদের মাঝে গরিবের ১০ টাকার চালের কার্ড দেওয়ার একটি অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা শবনমের কাছে দেন ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবদুস সালাম।
লিখিত অভিযোগ ও এলাকাবাাসী সুত্রে জানা যায়, সরকারের এ সুবিধার আওতায় সমাজের একেবারে নি¤œবিত্ত, খেটে খাওয়া গৃহহীন, ভুমিহীন দিনমজুর পর্যায়ের লোকজন সুবিধা ভোগ করবেন। কিন্তু ওই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হাসান ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যবসায়ী, পাকা বাড়ী ওয়ালাসহ সরকারের অন্যান্য সামাজিক সুবিধার আওতাধীন সুবিধাভোগী সহ আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ব্যক্তিদের। ৩ নং ওয়ার্ডের আবদুল মালেক-কার্ড নং ৪৩৭, লিটন -কার্ড নং ৪৪৮, লাবু -কার্ড নং ৫৩৫ এরা একই পরিবারের সদস্য। ব্যবসায়ী নুর ইসলাম- কার্ড নং ৫০১, তিনি বয়স্ক ভাতাভোগী একজন সুবিধাভোগী। আমির হোসেন- কার্ড নং ৪১৯, তিনি একজন ব্যাবসায়ী। বেলাল হোসেন- কার্ড নং ৪৯৫, সুমন ইসলাম- কার্ড নং ৮৬৫ এ দুজন ভিজিডি কার্ডধারী। আরো অনেক সুবিধাভোগী ও বিত্তবানদের নাম এসেছে এ তালিকায়।
জোড়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হাসান তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়টি অস্বিকার করলেও ত্রুটিপুর্ন তালিকার কথা স্বিকার করেন। তিনি তালিকা সংশোধনের কাজ চলছে বলে জানান।
এ ব্যাপারে ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনা শবনম অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ডোমার উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে ৩৭ জন ডিলারের মাধ্যেমে ১৮,৬৮৫ জন তালিকাভুক্ত ভোক্তার মধ্যে মাসিক ৩০ কেজি হারে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করছে সরকার। এ কর্মসুচীর সুবিধাভোগীর তালিকা বিধি অনুযায়ী স্ব-স্ব ইউনিয়ন পরিষদ প্রননয়ন করবেন।