মাদরাসা শিক্ষার্থী সাদিয়া ইয়াসমিন ওরফে কাকন (১৬) অপহরণের প্রায় দুই সপ্তাহ পর উদ্ধার হয়েছে। কোতয়ালি মডেল থানার এসআই মতিয়ার রহমান সোমবার কিশোরীকে উদ্ধার করেছে। এ সময় অপহরণের সাথে জড়িত এজাহার নামীয় আসামি সুমি ও দবির হোসেনকে গ্রেফতার করেছে। এর আগে দবির হোসেনের স্ত্রী সালিমা বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।
কোতয়ালি মডেল থানার কর্তব্যরত ও মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মতিয়ার রহমান জানান,সোমবার ১৬ মার্চ বিকেলে যশোর সদর উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের তেজরোল গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অপহৃতা সাদিয়া ইয়াসমিন ওরফে কাকনকে উদ্ধার করে। এ সময় মামলার এজাহার নামীয় ২ নং আসামি সুমি খাতুন ও তার পিতা দবির হোসেনকে গ্রেফতার করে। এর কয়েকদিন পূর্বে সুমি খাতুনের মাতা মামলার এজাহার নামীয় ৪ নং আসামি সালিমা বেগমকে গ্রেফতার পূর্বক আদালতে সোপর্দ করে। উল্লেখ্য,গত ৫ মার্চ সন্ধ্যায় সদর উপজেলার নাটুয়া পাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে নাটুয়া পাড়া মহিলা দাখিল মাদরাসার এ বছর দাখিল পরীক্ষার্থী সাদিয়া ইয়াসমিন কাকন তার চাচার বাড়িতে যাচ্ছিল। কাকন বাড়ির সামনে সন্ধ্যারাত সাড়ে ৭ টায় পৌছালে ওৎপেতে থাকা নাটুয়াপাড়া মধ্যপাড়ার দবির হোসেনের ছেলে সুমনসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা একটি নাম্বার বিহীন মাইক্রোবাসে কাকনকে জোরপূর্বক তুলে অপহরণ করে যশোরের দিকে চলে আসে। অপহরণের সময় কাকনের চাচী কুলসাম বাধা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয় বলে কাকনের মাতা ৮ মার্চ কোতয়ালি মডেল থানায় আসামীদের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়েরকৃত এজাহারে উল্লেখ করেন। সাদিয়া ইয়াসমিন কাকনের ডাক্তারী পরীক্ষা ও আদালতে ২২ ধারার জবানবন্দি গ্রহনের প্রস্তুতি নিয়েছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। তবে এই মামলার প্রধান আসামি দবির হোসেনের ছেলে সুমনকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন।