বরেণ্য সাংবাদিক-রাজনীতিক মওলানা ভাসানী, শহীদ সিরাজউদ্দীন হোসেন, শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার, শহীদ সেলিনা পারভীন নির্মল সেন, আতাউস সামাদ, গিয়াস কামাল চৌধুরী, এবিএম মুসা সহ বিদায় নেয়া অধিকাংশ সাহসী তথ্যযোদ্ধাকেই কথা ভুলে গেছেন সাংবাদিক ইউনিয়ন, জাতীয় প্রেসক্লাব আর সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের নাম ভাঙ্গিয়ে চলা লোভি সাংবাদিক নেতাদের একাংশ। ভুলে গেছেন বলেই তাদের কোন স্মরণ সভা হয় না, হয় না মনে রাখার জন্য-স্মরণিয় করে রাখার জন্য কোন বই প্রকাশ। সুযোগে গড়ে উঠেছে সাংবাদিক খুন-নির্যাতনের জন্য বড় একটি চক্র। এই চক্রের হাতে গত ২০ বছরে বাংলাদেশে ২৬ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে নিহত হন ১৪ জন, আহত হয়েছেন ৫৬১ জন সাংবাদিক। আর ২০০৭ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে নয় বছরে নিহত হন নয় জন সাংবাদিক। ২০১৬ তে ১, ১৭ তে ১ এবং ২০১৯ সালে এসে ১ জন নিহত হয়েছেন। শারিরীরক ও আইনি নির্যাতিত হয়েছেন প্রায় ৫ শতাধিক। ২ দশকে বাংলাদেশে সাংবাদিক নিহত হয়েছেন ২৬ সাংবাদিকের মধ্যে অধিকাংশই তৃনমূলে লোভ মোহহীন নিবেদিত সংবাদকর্মী ছিলেন। খুন ছাড়াও সাংবাদিকদের পরিবারের ভোগান্তি তো আছেই। আছে তথাকথিত বিসিএস উত্তীর্ণ কিছু হায়েনার পাষন্ডতা। আর এভাবেই বাড়ছে সাংবাদিক খুন-নির্যাতন।
আমি মনে করি- ক্রমশ পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, নির্যাতন ও হয়রানির ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে। অনেক ক্ষেত্রে সাংবাদিক নির্যাতনের এসব ঘটনা ঘটছে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নাকের ডগায়। সাংবাদিকরা যে শুধু সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ঘটনাস্থলে প্রকাশ্যে এমন হামলার শিকার হচ্ছেন তা নয়; দেশের বিভিন্ন স্থানে পূর্বপরিকল্পিতভাবে সাংবাদিকদের ওপর চোরাগোপ্তা হামলা চালানোর বহু ঘটনা ঘটেছে। ঢাকাসহ সারা দেশে বিগত বছরগুলোতে এ ধরনের নানা হামলায় বহু সাংবাদিক নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক। আরও উদ্বেগজনক হলো সাংবাদিকদের ওপর হামলা-নির্যাতনের বেশিরভাগ ঘটনারই সুষ্ঠু বিচার হচ্ছে না। সাংবাদিক নির্যাতন ও সাংবাদিক হত্যার যথাযথ বিচার না হওয়া স্পষ্টতই অপরাধীদের দায়মুক্তি দিচ্ছে। একে সাংবাদিকদের ওপর হয়রানি, নির্যাতন ও হামলার ঘটনা বাড়ার অন্যতম কারণ। সাংবাদিকদের ওপর যে কতটা বেপরোয়া ও বর্বর হামলা চালানো হচ্ছে তার বড় দৃষ্টান্ত পুরান ঢাকার নয়াবাজারে বন্ড চোরাচালানের বিরুদ্ধে অভিযানের সংবাদ সংগ্রহ করার সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলা। হামলায় আহত বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নিউজটোয়েন্টিফোরের প্রতিবেদক ফখরুল ইসলাম ও ক্যামেরাপারসন শেখ জালালকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ থেকে জানা যায়, কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের কর্মকর্তারা সেখানে অভিযান চালাতে গেলে বন্ড চোরাকারবারিরা অভিযান পরিচালনাকারীদের কয়েক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা তাদের মুক্ত করেন। দুপুরে ওই হামলার সময় বন্ড সন্ত্রাসীদের একটি সংঘবদ্ধ দল সাংবাদিকদের ক্যামেরা ও ব্যাকপ্যাক ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ভাঙচুর করে তাদের বহনকারী গাড়িও। টেলিভিশন চ্যানেলটির গাড়িতে থাকা সরাসরি সম্প্রচারের ডিভাইস, মেমোরিকার্ড ও ক্যামেরাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ছিনতাই ও ভাঙচুর করা হয়। সাংবাদিকরা যে কতটা অনিরাপদ পরিবেশে কাজ করছেন তার একটা দৃষ্টান্ত বলা যেতে পারে পুরান ঢাকার নয়াবাজারে এ হামলার ঘটনাকে। বন্ড চোরাচালানে জড়িত সন্ত্রাসীদের অভিযান চালাতে গিয়ে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের কর্মকর্তাদের কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখার ঘটনা একইসঙ্গে দুর্বৃত্তদের দৌরাত্ম্যেরও পরিচায়ক। নয়াবাজারে সাংবাদিকদের ওপর এই হামলার কদিন আগেই ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে বড় ধরনের হামলা ও মারধরের শিকার হন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক। এভাবে বাংলাদেশে সাংবাদিক নির্যাতন ক্রমশ বেড়ে চলছে যখন, তখন কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে শুক্রবার মধ্যরাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর কারাগারে পাঠানো হয়। বাড়ি থেকে টেনে-হিঁচড়ে তাকে গাড়িতে তোলা হয়। নির্যাতিত সাংবাদিক বলেছেন রিগ্যান- "আমাকে জোর করে গাড়িতে উঠানো হয়। আমি তাদের বলি আমার অপরাধ কী আমাকে বলেন। আমার কোন ভুল হয়ে থাকলে আমাকে মাফ করে দেন। আমি তাদের কাছে বার বার মাফ চেয়েছি।" জেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে আরিফুল ইসলাম রিগ্যান আরো বলেন, তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেসব সদস্য ছিল তাদেরকে বলেন, 'এর হাত পা বেঁধে ফেল, আজকে একে এনকাউন্টারে দিয়ে দেব।’ ‘তখন তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছিল। আমি তখন তাদের কাছে মাফ চাই, কিন্তু তিনি বলেন- তুই কলেমা পড়, তোকে এনকাউন্টারে দেব, তুই সমাজের জঞ্জাল। তুই কি ডিসির বিরুদ্ধে লিখিস? ডিসি কি ঘুষ খায়? আমি বললাম আমি এমন কিছু লিখি না, আমার ভুল হলে মাফ করে দেন। আমি তাদের বলেছিলাম আমার দুটি সন্তান আছে, আমি মারা গেলে ওদের কে দেখবে। ওদের উপর রহম করে আমাকে আপনারা ছেড়ে দেন। তিনি (ঐ কর্মকর্তা) কোন কথাই শুনছিলেন না। শুধু বলছিলেন তোর সময় শেষ তুই কলেমা পড়। আমার চোখ যে কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল সেটা কোন রকম একটু সরিয়ে আমি দেখতে পেলাম ধরলা ব্রিজ পার হয়ে আমাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে যেটা আমার বাড়ি থেকে ৭/৮ কিলোমিটার দুর। আমি তখন শুধু আল্লাহকে ডাকছিলাম। এর ২/৪ মিনিটের মধ্যে তারা ফোনে কথা বলে, মেসেজ পাঠায় তারপর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আবার গাড়ি ঘুরিয়ে নিয়ে আসে। চোখের কাপড়ের ফাঁক তিনি দেখতে পান তাকে ডিসি অফিসে নিয়ে আসা হয়েছে। তারপর শুরু হয় প্রচন্ড মারধর। আমাকে বিবস্ত্র করে মারে, ছবি তোলে। ঐ কর্মকর্তা আমাকে বলতে থাকে তোর বাপের নাম ভুলিয়ে দেব। আমাকে বিবস্ত্র করে মারে, ছবি তোলে, ভিডিও করে। পরে তাকে কাপড় পরিয়ে জোর করে চারটা স্বাক্ষর করে নেয়া হয়। আমি এখনো জানি না এই স্বাক্ষরগুলো কেন, কোথায় নেয়া হয়েছে। এরমধ্যেই পুলিশ চলে আসে, কিন্তু তিনি বলেন, পুলিশ কি করতে পারবে! তাকে দ্রুত কারাগারে নিয়ে আসা হয়। বাড়ি থেকে তাকে বের করা হয় রাত সাড়ে ১২টার দিকে। আর কারাগারে পাঠায় রাত দেড়টা থেকে দুইটার দিকে। আরিফুল ইসলাম রিগ্যান বলেন, দেড় ঘন্টার মধ্যে এসব কিছু হয়েছে।’
এই যখন নির্যাতন নিষ্পেষনের অবস্থা; তখন কলম ধরলাম, কথা বললাম অনলাইন প্রেস ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে। বাংলাদেশে সাংবাদিকতা-সংবাদ মাধ্যমের সাথে আমার সম্পর্ক ২৫ বছর। রাজপথে থাকি, কথা বলি লোভ মোহহীন নিরন্তর। আমার মনে আছে- ২০১৮ সালের আগস্টে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলার সময় তিন দিনে অন্তত ৪০ জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মী আহত হন। সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ২২ বছরে বাংলাদেশে ৩৫ জন সাংবাদিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন। বহুল আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার-মেহেরুন রুনি হত্যাকান্ডে ৮ বছরে ৭১ বার পেছানোর পরও জমা পড়েনি তদন্ত প্রতিবেদন। এই পরিস্থিতি নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। সংবাদমাধ্যমসহ মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠেছে সাম্প্রতিক ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’। একদিকে, এমন আইন ও নানারকম ভয়ভীতি-হুমকির কারণে সাংবাদিকতার পরিসর সংকুচিত হয়ে উঠছে; আরেকদিকে, শারীরিকভাবে হামলা ও হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে সাংবাদিকদের। এসব হামলা-নির্যাতন সাংবাদিকতা পেশাকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে এবং তথ্যপ্রকাশে বাধা দেওয়ার মধ্য দিয়ে তা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাকেও খর্ব করছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সাংবাদিক নেতারা অভিযোগ করে আসছেন যে, সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনায় সরকারের ভূমিকা অনেকটাই নীরব। কিন্তু গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হলে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন জরুরি। এ অবস্থায় অবিলম্বে সাংবাদিকদের ওপর সংঘটিত সব হামলা-নির্যাতনের যথাযথ বিচার নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। তা না হলে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করে তুলবে; বিশ্বের কাছে মাথা নত হবে বরাবরের মত সোনার বাংলাদেশের। যা আমাদের কারোই কাম্য নয়। যদিও কুড়িগ্রামে গভীর রাতে ভ্রাম্যমান আদালত চালিয়ে এক সাংবাদিককে নির্যাতন ও কারাদ- প্রদানের অভিযোগে জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (আরডিসি) নাজিম উদ্দীন এবং আরো দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। কুড়িগ্রামে জেলা প্রশাসক হিসেবে রেজাউল করিম নামে একজন উপসচিবকে দায়িত্বও দেয়া হয়েছে। প্রত্যাহার হওয়া বাকি দুজন হলেন সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা ও এস এম রাহাতুল ইসলাম। প্রত্যাহার করা এই কর্মকর্তাদের মধ্যে আরডিসি নাজিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে আরো 'কঠিন ব্যবস্থা' নেয়া হতে যাচ্ছে। এমন ব্যবস্থা যা 'তার এবং তার চাকরি, পরিবার ও সামাজিক অবস্থার জন্য বেদনাদায়ক ও অপমানকর হবে। কিন্তু তাতেই কি শেষ সাংবাদিক নির্যাতনের মত জঘণ্য অপরাধের শাস্তি? ইা অন্তত আমি মানতে পারছি না। কেননা, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ সাংবাদিক-সংবাদপত্র। তাদেরকে কোন ব্যক্তি যদি হামলা-মামলা দিয়ে নির্যাতন করে, যত বড়ই বিচার হওয়া উচিত কমপক্ষে ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড। ইদানীং তো বিসিএসরা মানুষকে মানুষই মনে করে না, সাংবাদিক পেলে তো কথাই নেই...’ এমন পরিস্থিতির উত্তরণে নির্যাতনকারীদের প্রত্যেকের ১০ বছরের সশ্রম কারাদ- চাই একন নতুন প্রজন্মের রাজনীতিক-কলামলেখক ও শিক্ষা-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কর্মী হিসেবে। কতটা পাষন্ড হলে ভাষা শহীদের দেশে, মুক্তিযোদ্ধাদের দেশে সাংবাদিকের বাসায় পুলিশ ছাড়া আনসার নিয়ে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা দরজা ভেঙে ঢোকে? এরপর মারধর শুরু করে? জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে নিয়ে ‘বিবস্ত্র' করে নির্যাতনও করে?
কতটা পাষন্ড এরা? যতটা পাষন্ড তারা, তাদের বিচারও ততটাই শক্ত হওয়া উচিৎ। আমি তো শুনে হতবাক হয়েছি! রিগ্যানের সহধর্মিনী বলেছেন- ‘‘কেন আমার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে আমরা জানি না৷ দরজা ভেঙে ৭/৮ জন বাসায় ঢোকে৷ এরপরই পেটাতে শুরু করে৷ কী অপরাধ জানতে চাইলে আরো বেশি মারতে থাকে৷ একপর্যায়ে টিনের বেড়া ভেঙে ওকে নিয়ে যায়৷ প্রথমে তো আমরা জানতামই না, কারা নিয়ে গেছে? ধরার সময় শুধু বলেছে, তুই অনেক জ¦ালাইছিস৷ পরে আমি কারাগারে দেখা করি৷ তখন সে দাঁড়াতেই পারছিল না আমাকে বলল, বিবস্ত্র করে পিটিয়েছে৷ দুটি কাগজেও স্বাক্ষর নিয়েছে।’’ ছি! প্রশাসন ছি! এভাবে বাংলাদেশকে কারা জিম্মি করছে? তাদেরকে কঠিনভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে যে, যদি কেউ বিসিএস-এ টেকে সে সবচেয়ে ক্ষমতাধর হয় না, ক্ষমতাধর রাষ্ট্র-জনগন। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদেরকে কখনোই উল্টা-পাল্টা কাজ করতে হয় না। করলে তার ফল ভালো হয় না। গত ৪৯ বছরে রাজনীতিক-প্রশাসনিক কর্মকর্তারা মিলে অন্তত ৪৩ জন সাংবাদিতককে হত্য করেছেন, নির্যাতন চালিয়ে আহত করেছেন ৫ হাজারেরও বেশি। সাংবাদিকরা কেউ নিহত হচ্ছেন সীমান্তে চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের রোষের শিকার হয়ে, কেউ প্রাণ হারাচ্ছেন চিংড়িঘেরের সিন্ডিকেট সম্পর্কে অনুসন্ধানী চিত্র তুলে ধরায়। দুর্নীতিবাজরা সাংবাদিককে হত্যার মাধ্যমে মুছে ফেলতে চায় তাদের অপকর্মের সব চিত্র। স্বাধীন বাংলাদেশে সাংবাদিকরা নানা স্বার্থবাদী মহলের নিশানায়। কেন? কারণ একটাই সমাজ ও রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে তাঁদের সাহসী অবস্থান। এ কথা ঠিক, একটি স্বাধীন দেশে এখন আর সরাসরি রাজনীতির জন্য সাংবাদিকতা করার প্রয়োজন নেই। তবে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, মৌলিক চরিত্র অক্ষুন্ন রেখে এগিয়ে যাওয়ার যে রাজনীতি, আজকের সাংবাদিকরা তো সেই রাজনীতিরই সহযাত্রী। সাধারণভাবে সাংবাদিকদের এই পথচলা নিরাপদ হওয়ার কথা, কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। সাংবাদিকরা খুন হচ্ছেন, নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। কেন? তাঁদের পেশাদারির কারণে। তবু বীরের মত অবিরত লড়ে যাচ্ছে বেতনহীন, স্বার্থহীন অনলাইন তথ্যযোদ্ধারা, বলে যাচ্ছেন সাহসকথা তৃণমূলে কর্মরত তথ্যযোদ্ধারা। তাদের জন্য নিরাপত্তা চাই, চাই তালিকা প্রণয়ন,ম চাই তাদের মূল্যায়ণ...
মোমিন মেহেদী : চেয়ারম্যান, নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি