দূর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদ অর্জন করার অভিযোগে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিউটি বেগম, তার স্বামী বিতর্কিত নীলফামারী সদর সাব রেজিস্ট্রার মো. শাহ আলমকে তলব করে নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি তাদের নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
দুদক বগুড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মো. আমিনুুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বিএনপি নেত্রী বিউটি বেগম ও তার স্বামী নীলফামারী সদর সাব রেজিস্ট্রার মো. শাহ আলম এবং তাদের একমাত্র পুত্র শাহ নেওয়াজ বিপুল এর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ায় দুদক কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নির্দেশে তাদের সম্পদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, সাবেক জয়পুরহাট ও বর্তমানে নীলফামারী সদর সাব রেজিস্ট্রার মো. শাহ আলম শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপি নেত্রী বিউটি বেগম এর স্বামী। শাহ আলম আইনজীবী পেশা থেকে সাব রেজিস্ট্রার পদে চাকরি নেয়ার পর কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, শিবগঞ্জ উপজেলা সদরে তার প্রায় দুই কোটি টাকার কয়েকটি জায়গা, এক কোটি টাকার রাজকীয় বাড়ি, গ্রামের বাড়ি মাঝপাড়ায় প্রায় শত বিঘা জমি ক্রয় করেছেন। তার স্ত্রী বিএনপি’র মহিলা নেত্রী বিউটি বেগম শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদে দু’বার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালে প্রায় ৫ কোটি টাকা খরচ করে নির্বাচিত হন। শিবগঞ্জ উপজেলা বন্দরে বিউটি ইলেকট্রনিক্স নামে টিভি ফ্রিজের দোকান আছে তার। সেখানে মূলধন প্রায় ১০ কোটি টাকা। বিএনপি নেত্রী বিউটি বেগম ৮০ লাখ টাকার জীপ নিয়ে চলাফেরা করেন। ডিউটি বেগমের একটি এনজিও আছে। ওই এনজিওতে প্রায় ১৫ কোটি টাকা মূলধন বিনিয়োগ করা আছে তার।
তিনি গত ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। তবে পরবর্তীতে বিভিন্নমুখি চাপে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। পরবর্তীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সরাসরি প্রার্থী হয়ে প্রায় তিন কোটি টাকা খরচ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ রিজুর নিকট পরাজিত হন।
এ বিষয়ে বিএনপি নেত্রী বিউটি বেগম এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি দূদকের চিঠির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। তিনি সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি যাচাই করে দেখার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।