বৃহস্পতিবার বিকেলে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টাইন না মানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সৌদি ফেরতএক ব্যক্তিকে১০ হাজার দুবাই ফেরত ৫০০০ হাজার টাকা ১৫০০০ জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার।
। এ সময় একই গ্রামের অন্য দুইজনকে সতর্ক করা হয়েছে। ওই প্রবাসীর নাম নাসির উদ্দিন। তার পিতার নাম সমির উদ্দিন। তিনি উপজেলার জামুরিয়া ইউনিয়নের গালা গ্রামের বাসিন্দা।
তিনি আরও জানান, করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করার আগেই আমদের আরও সতর্ক হতে হবে। বিশেষ করে যারা বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন তাদের অবশ্যই ১৪ দিন বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। আমরা জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।
অপরদিকে ইলির চালা গ্রামের ছাদের আলীর ছেলে দুবাই প্রবাসী আবদুল কদ্দুস বৃহস্পতিবার এলাকায় ঘুরা ফেরা করছিল পরে স্থানীয়রা প্রশাসনকে জানালে তাকে ৫০০০ টাকা জরিমানা করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মিলন তালুকদার জানান, সৌদি ফেরত নাসির উদ্দিন কিছুদিন আগে সৌদি থেকে দেশে ফিরেছেন। তিনি সরকারের নির্দেশনা হোম কোয়ারেন্টাইন না মানায় স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জামুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইখলাক হোসেন খান শামীম বলেন, এক সপ্তাহ আগে সৌদি আরব গালা গ্রামের ছমির উদ্দিনের ছেলে নাছির মন্ডল (৫৫), তারিকুল ইসলামে ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪৫) এবং দুবাই থেকে ওয়াজেদ আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (৩২) দেশে আসেন। দেশে এসেই তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় ইউপি মেম্বার মিলনকে পাঠিয়ে তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়। কিন্তু এ আদেশ তারা না মেনে উল্টো মেম্বারের ওপর ক্ষিপ্ত হন। পরে বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করলে প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জন কুমার সরকার বলেন, সরকারি নিয়মানুযায়ী তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা থাকলেও তারা এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করছিল। বিষয়টি জানতে পেরে ওই এলাকায় গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে একজনকে দশ হাজার টাকা জরিমানা এবং দুইজনকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। তাদের বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, সৌদি আরব থেকে আসা নাছির মন্ডল ঢাকা এয়ারপোর্ট হয়ে দেশে না এসে চট্রগ্রাম এয়ারপোর্ট হয়ে আসে। এয়ারপোর্টে নিজের পাসপোর্ট ফেলে পালিয়ে চলে আসেন। তিনি সর্দি ও জ্বরে ভুগছেন, মাঝে মাঝে কাশিও দিচ্ছেন।