তানোরে উপজেলা আ.লীগের উদ্যোগে জাতীয় কোন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছেনা। অপর দিকে দলীয় কোন কর্মকান্ডেও থাকছেন না সভাপতি ও সম্পাদক। সেই সাথে জাতীর জন্ক বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীও পালন করেনি তানোর উপজেলা আ’লীগ। ফলে তানোর উপজেলা আ.লীগ সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের ভূমিকা নিয়ে নিয়ে তৃনমুল পর্যায়ের নেতা-কর্মি ও জনসাধারনের মধ্যে চলছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা। গত প্রায় ৩বছর থেকে তানোর উপজেলা আ.লীগের উদ্যোগে ১৬ ডিসেম্বর, ২১ ফেব্রুয়ারী, ১৭ই মার্চ, ২৬মার্চ, ১৪ আগষ্টসহ জাতীয় দিবসগুলোর কর্মসূচি পালন করা হয়না। সম্প্রতি ১৭মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে তানোর উপজেলা আ.লীগের ব্যানারে তানোর উপজেলার কোথাও কোন কর্মসূচি পালন না করায় তৃনমুল পর্যায়ের নেতা-কর্মিদের মাঝে সভাপতি সম্পাদকের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আ.লীগ নেতা-কর্মিরা বলছেন আ.লীগের সভাপতি ও সম্পাদকের পদ ব্যবহার করে যারা জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী দিবসকে উপেক্ষা করেছে তারা কোন নীতিতে আ.লীগের রাজনীতি করেন ?। দলীয় নেতা-কর্মিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, স্থানীয় সংসদ সদস্যকে মাইনাস করে হলেও উপজেলা আ.লীগের ব্যানারে সভাপতি ও সম্পাদক তানোরের যে কোন স্থানে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শত বার্ষিকী পালন করতে পারতো। স্থানীয় সংসদ সদস্য’র সাথে ব্যাক্তিগত বিষয় নিয়ে দ্বন্দ থাকতেই পারে, কিন্তু তাই বলে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী পালন করা হলোনা কেন?
আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের তৃনমুল পর্যায়ের নেতা কর্মিরা বলছেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য’র কাছে অনৈক সুবিধা নিতে ব্যর্থ হয়ে তানোর উপজেলা আ.লীগ সভাপতি গোলাম রাব্বানী দীর্ঘদিন থেকে সংসদ সদস্য ফারুক চৌধুরীর বিরোধীতা করে আসছিলেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সংসদ সদস্য ফারুক চৌধুরীর সাথে গোলাম রাব্বানীর দ্বন্দ প্রকাশ্যে রুপ নেয়। ফলে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ.লীগ সভাপতি গোলাম রাব্বানী সরাসরি নৌকার বিরোধীতা করেছেন। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সভাপতি তার ছোট ভাইকে ওয়ার্কার্স পার্টির দলীয় মনোনয়ন নিয়ে সরাসরি প্রকাশ্যে নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলো। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচণে তানোর উপজেলা আ.লীগ সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন মনোনয়ন না পেয়ে সম্প্রতি তিনি গোলাম রাব্বানীর হাতে হাত মিলিয়ে সংসদ সদস্য’র ফারুক চৌধুরীর বিরোধীতা শুরু করেছেন। যোগাযোগ করা হলে তানোর উপজেলা আ.লীগ সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এমপি’র কোন প্রোগ্রামে আমাদেরকে ডাকা হয়না, তাই আমরা দুরে আছি, আমরা না থাকলে সমস্যা কি (তিনিই) সংসদ সদস্য তো পালন করছেন। সংসদ সদস্য সরকারী বা পৌর আ.লীগের ব্যানারে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রোগ্রামে যোগ দিচ্ছেন আপনারা চাইলেতো আলাদা ভাবে উপজেলা আ.লীগের ব্যানারে জাতীয় প্রোগ্রাম গুলো পালন করতে পারেন তো করছেন না কেন এমন প্রশ্নের কোন সদউত্তর পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ ওমর ফারুক চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আ.লীগের পদ পদবি ব্যবহার করে নৌকার বিরোধীতা করা মানে বঙ্গবন্ধুর সাথে এবং শেখ হাসিনার সাথে বেইমানি করা, এইসব বেইমানরা দিনের বেলা আ.লীগের পরিচয় দিচ্ছে আর রাতে হাতুড়, ভোর রাতে বিএনপি, আর ফজরের সময় জামায়াতের নেতা-কর্মিদের সাথে হাত মিলিয়ে নৌকার/আ’লীগের ক্ষতি করছে, এইসব মুখোশ ধারীদের রুখতে তৃনমুল পর্যায়ের নেতা-কর্মিরা ঐক্যবদ্ধ। তিনি বলেন, ডারা কেন্দ্রীয় আ.লীগের কোন কর্মসূচি এবং জাতীয় কোন দিবস পালন করেনা, তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাষ করেনা। এরা আ.লীগের বিতরে থেকে আ.লীগের সাথে বেইমানি করেছে এবং করছে আগামীতে এইসব বেইমানদের দলে কোন স্থান হবেনা।