নোয়াখালীর সেনবাগে আমেরিকা, ইতালি ও মধ্যপাচ্য পেরত ৩৭ প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন আমেরিকা, তিনজন ইতালি ও ৩৩ জন মধ্যপাচ্য থেকে সম্প্রতি বাংলাদেশে আসেছে। তাদের সকলেকে ২ সপ্তাহ (১৪দিন) নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখেছে সেনবাগ উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগ। বিয়য়টি শনিবার দুপুরে নিশ্চিত করেছেন সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পানা কর্মকর্তা (ইউএসপিও) ডাক্তার মতিউর রহমান। ওই ৩৭ জন প্রবাসী মধ্যে এরআগে বৃহস্পতিবার দুইজন ইতালি ও ১৩ জন মধ্যপাচ্য পেরত বাংলাদেশীকে হোম কোয়ারেন্টানে রাখা হয়েছিল। মাত্র দুইদিনের দিনের ব্যাবধানে তা বেড়ে ৩৭জনে উণিœত হয়েছে। এদেও মধ্যে একজন আমেরিকার ও এক ইতালি ও ২০ মধ্যপাচ্য পেরত ২২ জনকে হোম কোয়ােেরন্টানে রাখা হয়েছে।
হাসপাতালের (ইউএসপিও) ডাক্তার মতিউর রহমান জানান, দেশব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্তে সংখ্য দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই সরকার ওই ভাইরাসের সংক্রামন থেকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে বিদেশ পেরত প্রবাসীরা যাতে জন সমাগম যেমন, হাট,বাজার, চা দোকান,পিকনিং স্পটে গুরাগুরি না করে নিজ বাড়িতেই অবস্থান করার জন্য। এর ব্যাতিক্রম হলে মোবাইল কোট পরিচালনা করে তাদের জেল, জরিমানা করে হোম কোয়ারেন্টান নিশ্চিত করা হবে। এছাড়াও জ্বর,শর্দি ,কাশি, গলা ব্যাথা রোগীরা কারো সাথে হ্যান্ডশিক না করে এবং হাঁচি,কাশি দেওয়ার সময় নিরাপদ দুরন্তে থেকে নাকে মুখে রুমাল দিয়ে থাকে ও মাক্স পরিধান করে রাখার আহবান জানান।
তিনি আরো জানান, জ্বর, শর্দি, কাশি ও গলা ব্যাথা রোগীদের জন্য ইতোমধ্যে ফ্লুল কর্ণার নামে সেনবাগ হাসপাতালে আলাদা একটি চিকিৎসা সেবা বুথ চালু করা হয়েছে যাতে করোণা আক্রান্ত রোগিদের থেকে তার আলাদা থাকে।
হাসপাতালের ডাক্তার,নার্স,সহ স্টাফদের সুরক্ষার পার্সনাল প্রটেশটিভ ইকোইটমেন্ট (পিপিই) সরবরাহ করার জন্য- তিনি সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান।
তিনি আরো জানান করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগিদেও জন্য ইতোমধ্যে মধ্যে সরকারের নির্দেশনা সেনবাগ হাসপাতালে ৫ বেডের একটি আইসোলেট ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায় ক্রমে এটি ১০ বেডে উন্নীত করা হবে।
হাসপাতালে সরেজমিনে পরিদর্শন কালে দেখো গেছে হাসপাতালটিকে বর্হি বিভাগে প্রতিদিন ৩শ থেকে ৩৫০ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। তা শনিবার দাড়িয়েছে মাত্র ১২৩ জনে। দায়ত্বশীল একটি সুত্রে জানায়,কোরনা সংক্রামনে ভয়ে রোগীর সংখ্য কমে গেছে।