করোনা ভাইরাসের অজুহাতে নীলফামারীর ডিমলা সদরসহ বিভিন্ন বাজার গুলোতে চালের বাজার অস্থির। বাধ্য হয়ে ভোক্তাগণ বর্তমান বাজারের চড়া মুল্যেই চাল ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছে। তবে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় সকল দ্রব্য মুল্য স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে আসছেন।
শনিবার বিকেলে চালের বাজার অস্থির হওয়ার খবরে উপজেলা প্রশাসনসহ বাজার মনিটরিং করেছেন ডিমলা উপজেলা খাদ্য গুদামের শংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। এ সময় ব্যবসায়ীদের চাল ডালসহ সকল প্রকার নিত্য পন্য পূর্বের বাজার মুল্যে বিক্রয় করার আহবান জানানো হয়। তবে ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের কথা না মেনে
ডিমলা উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন বাজারে গত ৩দিন আগে মামুন স্বর্না প্রতিকেজি চালের মুল্য ৩০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমান বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে ৩৭ টাকা, বগ মার্কা স্বর্না ৩৭ টাকা বিক্রি করা হলেও বর্তমানে বিক্রি করা হচ্ছে ৪২ টাকা দরে,স্বর্না-৫ ৩১ টাকা বিক্রি করা হলেও বর্তমানে বিক্রি করা হচ্ছে ৩৭ টাকা দরে, আর আপেল মার্কা গুটি স্বর্না ৩০ টাকা বিক্রি করা হলেও বর্তমানে বিক্রি করা হচ্ছে ৩৭ টাকা দরে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরা উপজেলার (ভাটিয়া পাড়া) নামক স্থান হতে পাইকারী চাল ব্যবসায়ী জাহের আলীর নিকট হটাৎ করে চড়াদামে চাল ক্রয় করার কারণে পুর্বের তুলনায় কেজিপ্রতি খুচরা ৫-৭টাকা বেশিদামে চাল বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। ভোক্তারা বলছেন, করোনা ভাইরাসের অজুহাত দেখিয়ে চাল ব্যবসায়ীরা হটাৎ করে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আমারা সাধারন ভোক্তারা উপায় অন্ত না পেয়ে বাড়তি মুল্যে চাল ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছি। স্থানীয় বাজারে পর্যাপ্ত চালের মজুত থাকার পরেও অসাধু চাল ব্যবসায়ী ও মিলার সিন্ডিকেড এর জন্য দায়ী বলে অভিযোগ করেছে খুচরা চাল বিক্রেতারা। তাদের অভিযোগ মিল মালিকরাই নিয়ন্ত্রণ করছে চালের বাজার। তাদের কারনেই চালের বাজার উর্দ্ধমুখি। মিল মালিক ও চাল আড়ৎদারদের গুদামে হাজার হাজার মণ চাল মজুত থাকার পরেও বাজারে চালের মূল্য বিনা কারনেই নিজ খেয়াল খুশি অনুযায়ী বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
এছাড়া পিয়াজ, রসুন, আদা, প্যাকেটজাত পন্য মুরগির মাংসসহ সকল নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের মুল্য হাট বাজারের দোকান গুলোতে নির্ধারিত মুল্যের তুলনায় চড়া মুল্যে বিক্রয় করা হচ্ছে।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় বলেন, সকল নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের মুল্য স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। এর পরেও কোন ব্যবসায়ী যদি পন্যের নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে বেশি মুল্যে পন্য বিক্রয় করেন। তবে সেই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।