যশোর জেলা পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের স্থগিত হওয়া নির্বাচন আগামী ২৭ মার্চ পুনরায় ভোটগ্রহনের জন্য দিন নির্ধারনের জন্য শনিবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে দাবি জানানো হয়েছে। এ ৩১ মার্চের মধ্যে এ ইউনিয়নের নির্বাচন না হলে সংগঠনের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সকল সদস্যদের সদস্য পদ বাতিল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে যশোর জেলা পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মামুনুর রশিদ বাচ্চু, সহ-সভাপতি আবু হাসান, রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোর্তজা হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ষষ্ঠী কুমার দত্ত, সহ-সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম ও মিন্টু গাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক হারুণ-অর-রশিদ ফুলু, প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজু, কোষাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ ফুলু জানান, শুক্রবার যশোর জেলা পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে মাত্র ২২ ঘণ্টা আগে এই নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। অথচ সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এমনকি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের মতো নির্বাচন হচ্ছে। যেখানে লাখ লাখ মানুষের সমাগম হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, যশোর জেলা পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যে ৬৩ জন প্রার্থীর গত চারমাস ধরে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন। ইতোমধ্যে নির্বাচনী প্রচারণার কাজ শেষ হয়েছে। পাঁচ লাখ টাকার নির্বাচনী সামগ্রী ক্রয় করা হয়েছে। ইউনিয়নের ৯ হাজার ১৪৪ জন ভোটারের মধ্যে অনেকে যশোরের বাইরে দেশের বিভিন্ন জেলায় থাকেন। যারা ইতোমধ্যে যশোরে চলে এসেছেন। এমন পরিস্থিতিতে ভোটগ্রহণ না হলে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি গঠনতন্ত্রের ধারা অনুযায়ী সব সদস্যের সদস্যপদ বাতিল হয়ে যাবে। এজন্য আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। তাই আমরা আগামী ২৭ মার্চ শুক্রবার ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণের দাবি জানাচ্ছি। প্রয়োজনে জনসমাগম এড়াতে দুই দিন ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করলেও আমাদের কোন আপত্তি নেই।