ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের থানাকান্দি ও হাজিরহাটি গ্রামে পূর্ব বিরোধের জেরধরে শুক্রবার বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও কাউছার মোল্লার সমর্থকদের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও বাড়িঘড় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারীসহ ১৫ জন ও আটজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। একজনকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৪ রাউন্ড গ্যাস সেল নিক্ষেপসহ ৪০ রাউন্ড বুলেট ব্যবহার করেছে।এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুই গ্রুপের দল নেতা সহ এজাহার নামীয় ৩২ জন ও অজ্ঞাত তিন থেকে চারশো নারী পুরুষকে আসামি করে মামলা করেছে। সংঘর্ষের পর থেকে গ্রামটি পুরুষ শুন্য হয়ে পরেছে।
সরেজমিনে গিয়ে যানাযায়, প্রায় তিন যুগের বেশী সময় ধরে দুই প্রভাবশালী আবু মেম্বার ও মোসলেম মেম্বারের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত কয়েক বছরে ৪টি খুন ও ২৫টি পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। গত ১৭ মার্চ পূর্ব বিরোধের জের ধরে কাউছার মোল্লার সমর্থক ডিস কামালকে কুপিয়ে আহত করা এবং জিল্লুর চেয়ারম্যানের দুই ভাইকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার পরই শুক্রবার বিকেলে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ওই সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত বাড়িঘর ভাংচুর, অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে দেলোয়ার হোসেনকে (২২) আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার আতঙ্কে গোটা গ্রাম পুরুষ শুন্য হয়ে গেছে। থানাকান্দি গ্রামের মসজিদের ইমাম বলেন, প্রতিদিন ফজরের নামাজের সময় মসজিদে দুই কাতার লোক হলেও এই সংঘর্ষের কারণে আজকে মাত্র তিনজন মুসল্লী মসজিদে এসেছেন। গ্রামের নিরহ নারী ও শিশুরা রয়েছে চরম আতংকে।অনেক বাড়িতে আজকে দুপুরে চুলাও জ্বলেনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মকবুল হোসেন বলেন,'সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে ৪ রাউন্ড ক্যাদানে গ্যাস নিক্ষেপসহ ৪০ রাউন্ড শিষা ও রাবার বুলেট ব্যবহার করতে হয়েছে। ওই সময় পুলিশের আট সদস্য আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ের রয়েছে।