অতিসম্প্রতি বিএনপি’র ঝিনাইদহ জেলা কমিটি কোটচাঁদপুর বিএনপি’র উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষনা দেন। ফলে মনগড়া আহ্বায়ক কমিটি অভিযোগ এনে কোটচাঁদপুর উপজেলা বিএনপি দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। হাতাহাতির মত ঘটনাও ঘটেছে দু’পক্ষের নেতাদের মধ্যে। বিষয়টি নিয়ে এরইমধ্যে কোটচাঁদপুর উপজেলার নেতৃবৃন্দ ক্ষিপ্ত হয়ে একযোগে ১৬জন নেতা পদত্যাগ করে জেলা কমিটি ও কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন।
পদত্যাগকারী নেতারা হচ্ছেন- যুগ্ন আহ্বায়ক ৪জন এরা হচ্ছেন, আলমগীর খান, সাইদুর রহমান, মনিরুল ইসলাম, ও বজলুর রহমানসহ ১২জন সদস্য।
বিষয়টি নিয়ে সাবেক উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ এ প্রতিবেদককে বলেন,কোন আলাপ আলোচনা ছাড়াই জেলা কমিটির আহ্বায়ক অ্যাড.এস এম মশিউর রহমান ও সদস্য সচিব অ্যাড. এম এ মজিদ স্বাক্ষরিত একটি মনগড়া কোটচাঁদপুর উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে তালিকাটি ফেসবুকে দিয়েছেন। এতে আবদুর রাজ্জাককে আহ্বায়ক ও মিজানুর রহমান খানকে সদস্য সচিব করে ৪১ সদস্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিরাজুল ইসলাম বলেন, এটা সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র পরিপন্থী আমরা জেলার দেয়া মনগড়া কমিটি মানিনা। হাতাহাতির ঘটনা স্বীকার করে তিনি বলেন, নতুন করে আহ্বায়ক কমিটি দিতে হবে। ইতি মধ্যেই বিগত উপজেলা কমিটিতে গুরুত্বপর্ণ পদে থাকা নেতারা আহ্বায়ক কমিটিতে থাকার পরও ১৬জন নেতা এ কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছে।
বিষয়টি নিয়ে বিএনপি’র ঝিনাইদহ জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব অ্যাড. এম এ মজিদ ‘‘ এফএনএস’’কে বলেন, কোটচাঁদপুর প্রতিটি ইউনিয়ন কমিটি রেজুলেশনের মাধ্যমে নেতা নির্বাচনে আমাদের কাছে প্রস্তাবনা দিয়েছেন। আমরা তারই ভিত্তিতে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দিয়েছি। এটা মনগড়া কমিটি নয়। এ কমিটিতে যারা বৃদ্ধ, অসুস্থ ও বিগত দিনে যারা আন্দোলন থেকে দূরে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে রাখা হয়নি। আমরা চেয়েছি বিএনপিতে নতুন নেতৃত্ব আসুক। বিষয়টি নিয়ে আমরা কেন্দ্র পর্যায়ে আলাপ করেছি। জনাব মজিদ আরো বলেন, কেন্দ্র নেতৃবৃন্দ আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন যে, কেউ যদি দলের জন্য এগিয়ে না আসতে চায় তাদেরকে বাদ রেখেই পথ চলতে। তাড়াছাড়া এ কমিটি ক্ষনিকের জন্য। এখন বিরোধিতা যারা করছেন আগামী সম্মেলনে তারাও তো পূর্ণঙ্গ কমিটিতে নেতা হয়ে আসতে পারেন সুতারাং বিরোধীতা করার মত আমি কোন করণ দেখছিনা।