বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের অবাধ যাতায়াত ও শিবচরে সতর্ক অবস্থার কারণে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার সাথে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার নৌ-রুট ও অভ্যন্তরীন সকল পথে যোগাযোগ সীমিত করা হয়েছে। পাশাপাশি সড়ক ও নৌ-পথে প্রশাসনিক নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গৌরনদীর পালরদী নদীর অপরপ্রান্তে মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার অবস্থান। ওই উপজেলার বহু পরিবারের গৃহকর্তাসহ সদস্যরা প্রবাসে থাকেন। এমনকি কালকিনিতে ইতালিপাড়া নামে একটি জায়গার নামও রয়েছে। এসব জায়গার মানুষের বেশিরভাগ কাজ গৌরনদী উপজেলা সদর কেন্দ্রিক।
সূত্রমতে, প্রবাসে করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করার পর গত কয়েকদিনে বৃহত্তর মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার প্রবাসীরা নিজ নিজ গ্রামে ফিরে আসেন। যারা অনেকেই হোম কোয়ারেন্টিনে না থেকে পালরদী নদীর খেয়া নৌকা পারাপার হয়েই অবাধে গৌরনদী উপজেলার ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যে কারণে গৌরনদীবাসীর মধ্যে করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। একারণেই পালরদী নদীর ১২টি খেয়া নৌকা চলাচলের পাশাপাশি অভ্যন্তরীন সড়কে যাতায়াত সীমিত করা হয়েছে।
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান জানান, শনিবার সন্ধ্যা থেকে খেয়া চলাচল সীমিত করার পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ সদস্যরা নজরদারি বাড়িয়েছেন।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মাহাবুবুর রহমান জানান, উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনা করে সীমান্তবর্তী নৌ ও অভ্যন্তরীন সড়ক পথে পুলিশ পাহাড়া বসিয়েছে। মাদারীপুর জেলার কেউ যাতে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া গৌরনদীতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্যই পুলিশী চেক পোষ্ট বসানো হয়েছে। গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুর রব হাওলাদার জানান, শুধু প্রবাসীদের অবাধ ঘোরাফেরারোধে পালরদী নদীতে অর্থাৎ গৌরনদী ও কালকিনি উপজেলার সীমান্তবর্তী নদীর ১২টি খেয়া নৌকা চলাচল সীমিত করা হয়েছে। পাশাপাশি সড়ক ও নৌপথে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।