রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সোহেল হাওলদার নামে এক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। সোহেলের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় হত্যা, হত্যা প্রচেষ্টা, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার সুরুজ হাওলাদারের ছেলে। এ ঘটনায় দুইজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদেরকে মুগদা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, সন্ত্রাসীদের কাছে অস্ত্র আছে এমন গোপন খবর পাই। পরে আমি ও খিলগাঁওয়ের জোনাল সহকারী কমিশনার জুলফিকার স্যারের নেতৃত্বে একটি দল গত শনিবার দিবাগত রাতে অস্ত্র উদ্ধার করতে নাগদারপাড় এলাকায় যাই। তখন সন্ত্রাসীরা আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে আমাদের উপরে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে আমরাও পাল্টা গুলি চালাই। এতে সোহেল গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে আমাদের থানার উপপরিদর্শক আজিজুল হক ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। পরে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, রোববার দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের কাছে সোহেলের ভাই মোহাম্মদ জামাল হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, বন্দুকযুদ্ধে নিহত সোহেল হাওলাদারকে বিমানবন্দর থেকে আটক করেছিল পুলিশ।। তিনি জানান, সোহেলের পুরো নাম সোহেল হাওলাদার ঝুনা। তার বয়স ৩০ বছর। ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার পুকুরপাড় গ্রামের বাসিন্দা সে। তার ভাই বর্তমানে মুগদা এলাকায় স্ত্রী শাহনাজকে নিয়ে থাকতো। মোহাম্মদ জামাল হাওলাদার অভিযোগ করে জানান, শনিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় চট্টগ্রাম থেকে বিমানে ঢাকার বিমানবন্দর এসে নামলে সোহেলকে সেখান থেকে পুলিশ আটক করে। এরপর তাকে খিলগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়। মোহাম্মদ জামাল হাওলাদারের দাবি, সোহেল একজন সফল ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে একটি মারামারির মামলা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা ছিল।