নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ডমুরিয়া ইউনিয়নে হরিণকাটা গ্রামের দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের সময় পায়ের নিছে চাপা পড়ে স্কুলছাত্র আরিফুল ইসলাম (৮) নিহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার অভিযুক্ত প্রধান আসামী ইউপি সদস্য (মেম্বার) আবুল কালাম আজাদকে গ্রেফতার করেছে সেনবাগ থানা পুলিশ। এদিকে রোববার বাদ আছর আরিফুল ইসলামের জায়নাজার পর লাশ দাফন করা হয়েছে। জায়নাজা শেষে সকল অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসি।
গ্রেফতারকৃত আবুল কালাম আজাদ সেনবাগে ৩ নংডমুরিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড জিরুয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তার বলির ছেলে। তিনি ওই ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার।
জানা গেছে, গত শনিবার বিকেল ৫টার দিকে সেনবাগ পৌর শহর থেকে ইউরিয়া সার ভর্তি একটি ট্রাক ডুমুরুয়া মোড়ে যাচ্ছিল। পতি মধ্যে ট্রাকটি স্থানীয় হরিণকাটা পোলের গোড়া নামক স্থানে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্থানীয় সেলিমের চা দোকানের সামনে দাঁড়ানো অটোরিক্সা মেরে দোকানের ভিতরে ট্রাক ঢুকে পড়ে। এতে চা দোকানদার সেলিম আহত হয়। এসময় একটি গুজব ছড়িয়ে পড়ে নিহত ষ্কুল ছাত্র আরিফ দূর্ঘটনায় কবলিত গাড়ীর নিছে চাপা পড়ে আছে। এতে হরিনকাটার এলাকার লোকজন দ্রুত গাড়ীর মালামাল সরিয়ে তাকে উদ্ধার চেষ্টা শুরু করে । ইতি মধ্যে খবর পেয়ে স্থানীয় ডুমুরুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল কালাম আজাদ ও তার লোকজন ঘটনাস্থল এসে ট্রাকের সার লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত স্থানীয় লোকজন তাকে বাধা দেয়। এ নিয়ে স্থানীয় লোকজনের সাথে আজাদ মেম্বারের লোকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরি মধ্যে মেম্বারের লোকজন গ্রামবাসীদের কে ঘটনাস্থল থেকে দাওয়া করে এসময় রাস্তার পাশে দাঁড়ানো শিশু আরিফুল ইসলাম তাদের সাথে ধাক্কা খেয়ে রাস্তায় পড়ে যায়।এতে আরিফ পদদলিত হয়ে এসময় গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা আহত আরিফকে দ্রুত উদ্ধার করে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সংঘর্ষে মেম্বারের লোকজন হরিনকাটা গ্রামের আনোয়ার হোসেন, বেলাল, স্বাপন, আবু, ইউসুপ উপর হামলায় চালিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালীতে মর্গে প্রেরন করে।