করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সম্মিলিতভাবে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী, প্রশাসনসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী বুধবার উপজেলা পর্যায়ে টহল দিয়েছে সেনাবাহিনী। একইভাবে জেলা প্রশাসন, র্যাব ও পুলিশ বাহিনীও সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়েছে। এতে করে শহর-গ্রামে অনেকে সচেতন হয়ে মানুষ ঘরে অবস্থান করলেনও সরকারী নির্দেশনা পুরোপুরি মানছেন না সাধারণ মানুষ। বুধবার জেলা প্রশাসন র্যাবের সহযোগিতায় নগরীর স্টেশন এলাকায় জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালায়। এ সময় রেলস্টেশন এলাকার প্লাটফর্ম, রেলস্টেশন চত্ত্বর ও বাজার এলাকায় লোকসমাগম বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। মাইকিং করে করোনার প্রার্দূভাব ঠেকাতে সকলকে ঘরে অবস্থান করার পরামর্শ দেন র্যাবের কর্মকর্তারা। এদিকে সরকারী-বেসরকারী উদ্যোগে করোনা প্রতিরোধে খাদ্য সামগ্রী, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরন কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। গতকাল এক হাজার শ্রমজীবি মানুষকে চাল, ডাল, তেল, আলুসহ ৮’শ টাকা মূল্যের ১০টি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বিতরন করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী তৌহিদ হোসেন। নগরীর বস্তি এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় শ্রমজীবি মানুষের মাঝে এ খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হয়। ওদিকে সরকারী বেগম রোকেয়া কলেজের উদ্যোগ হাত ধোয়া সাবান ও জীবানু নাশক মিশ্রন বিতরন করা হয়েছে। কলেজ অধ্যক্ষ চিন্ময় বাড়ৈ গতকাল সাধারণ মানুষের মাঝে এ সামগ্রী বিতরন করেন এবং জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালান। জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে নগরীর জাহাজ কোম্পানি এলাকায় বিনামূল্যে মাস্ক ও জনসচেতনামূলক লিফলেট বিতরন করা হয়। নগরীর সড়কগুলোতে জীবানু নাশক মিশ্রণ ছিটিয়েছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।
করোনা মোকাবেলা নিয়ে র্যাব-১৩ অধিনায়ক রেজা আহমেদ ফেরদৌস বলেন, র্যাব-১৩ এর অধীনে রংপুর বিভাগের ৮টি জেলায় মাইকিংয়ের মাধ্যমে সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও টহল চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা জনগণকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছি। এই রোগ বিস্তার প্রতিরোধে টহল কার্যক্রমে আড়াইশ জন মাঠে রয়েছে।
রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করা। মানুষ যেন কোথায় ভিড় না জমায়, একসাথে জড়ো না হয় সেদিকে আমরা সজাগ রয়েছি। সকালে সেনাবাহিনী বিভিন্ন এলাকায় টহল দিয়েছে। র্যাব টহলসহ মাইকিং করে জনগণকে সচেতন করছে।