প্রশাসন ও পুলিশের বিধি-নিষেধ থাকা সত্বেও নেত্রকোণার বারহাট্টায় ঘরে থাকছে না অনেকেই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বারহাট্টা সরকারী কলেজের একজন প্রভাষক বলেন, বারহাট্টার জন-জীবন যেন স্বাভাবিক। করোনার প্রভাব পড়ে নাই। অনেক লোকজন, এমনকি শিশু ও মহিলারা দলবেঁধে রাস্তায় আসছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিকেল দুইটায় সেনাবাহিনীর দুইটি গাড়ী আসতে দেখে রাস্তায় ও দোকানপাটে থাকা লোকজন ছুটে পালায়। গাড়ী চলে যাবার সাথে সাথে সবাই আগের অবস্থায় ফিরে আসে। একই দিন বিকেল আড়াইটায় সামাজিক দূরক্ত নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ মোটর সাইকেল ও গাড়ীর বহর নিয়ে মহড়া চালায়। এ সময় লোকজন রাস্তা ছেড়ে আশপাশে আত্মগোপন করে। পুলিশ ফিরে যেতেই লোকজন রাস্তায় ও মোড়ে মোড়ে ভীড় জমায়।
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সোহেল রানা জানান, চলতি মার্চ মাসের শুরু থেকে বারহাট্টা উপজেলার ৪৬ জন বিদেশ ফেরত ব্যক্তিকে সনাক্ত করা গেছে। তাদের মধ্যে ১১ জন ব্যক্তি বারহাট্টার বাইরে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছেন। প্রাপ্ত তালিকায় অনেকের পিতা বা মহিলাদের ক্ষেত্রে স্বামীর নাম না থাকায় পুলিশকে গলদঘর্ম হতে হচ্ছে। সন্ধান না পাওয়া অনেক ব্যক্তির পূর্ণাঙ্গ তথ্যাদি প্রেরণের জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমাদের হাতে থাকা তালিকা অনুযায়ী বিদেশ ফেরতদের সংখ্যা ৬০জন। পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা মিলে অনেক চেষ্টা করে ৪৬জনের সন্ধান পেয়েছেন। বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের মধ্যে এ পর্যন্ত ২৩ জনের হোম কোয়ারিন্টিন শেষ হয়েছে। ১২ ব্যক্তি কোয়ারিন্টিনে আছেন। শনিবার ৬ ব্যক্তির কোয়ারিন্টিন শেষ হবে। কোয়ারিন্টিন নিশ্চিতকরণে একটি মনিটরিং টিম সবসময় কাজ করছে।