নরসিংদীর রায়পুরায় দুর্গম চরাঞ্চলে টেটাবিদ্ধ হয়ে এক স্কুল ছাত্রী সোনিয়া নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রায়পুরা উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নে কালিকাপুর গ্রামে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় কালিকাপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ৬টি বাড়িঘরে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। সোনিয়া কালিকাপুর গ্রামের জালাল মিয়ার মেয়ে ও সদাগরকান্দি উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
স্কুল ছাত্রীকে মারাত্মক আহত অবস্থায় প্রথমে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত ৮টায় সেখানে সে মারা যায়। এ সংঘর্ষে আহত হয় কালিকাপুর গ্রামের মৃত আবদুল হাসিমের ছেলে শবুর মিয়া (৫০), জালাল মিয়া (৪০), মৃত তাহের মিয়ার স্ত্রী রুবিনা খাতুন (৬০), ছেলে হেলাল মিয়া (৩২), অন্তঃস্বত্তা পুত্রবধূ মুক্ত আক্তার ও শান্ত মিয়ার স্ত্রী আনু (৩৩), সৈয়দ জামানের ছেলে জাকির মিয়া (৩৮), জিতু মোল্লার ছেলে ফরিদ মিয়া (৬০), হযরত আলীর ছেলে মুগল হোসেন (৩৮), ইনু মিয়ার ছেলে মাছুম (২৫) ও বাছেদ (৩২) নামে ১০ জন আহত হয়। আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ কালিকাপুর গ্রামের অহিদ মিয়ার ছেলে আবদুস সাত্তার (৩২) ও আবু সামাদের ছেলে সবুজ (২৪) আটক করেছে। রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক দেব দুলাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, চাঁনপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদ বাবুল মিয়া ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির মিয়ার মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পরে শুক্রবার রাতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এসময় উভয় পক্ষের ছয়টি ঘরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আ.লীগ নেতা বাবুলের দুই সমর্থক সাত্তার ও সবুজকে আটক করে।