করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে নড়াইলে বিদেশ ফেরত ব্যক্তির সংখ্যা এক হাজার ৫৪১জন। এর মধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৪১৩ এবং অব্যাহতি দেয়া হয়েছে ১০৮জনকে। এদিকে হোম কোয়ারেন্টাইনের বাইরে আছেন এক হাজার ২০জন। করোনাভাইরাস সম্পর্কে জেলার এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে রোববার (২৯ মার্চ) দুপুরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার), সিভিল সার্জন ডাক্তার আবদুল মোমেন, সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার আবদুস শাকুর, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক শামিমুল ইসলামসহ গণমাধ্যমকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত নড়াইলের তিনটি উপজেলায় বিদেশ ফেরত ব্যক্তির সংখ্যা এক হাজার ৫৪১জন। এদের মধ্যে এক হাজার ৫০৭জনের অবস্থান চিহিৃত করা সম্ভব হয়েছে। বাকি ৩৪ জনকে চিহিৃতকরণের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ৪১৩জন। কোয়ারেন্টাইন থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে ১০৮জনকে। এ ছাড়া এক হাজার ২০ জন হোম কোয়ারেন্টাইনের বাইরে আছেন। তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে আনার চেষ্টা চলছে। সোমবারও নড়াইলে করোনাভাইরাসের প্রায় একই ধরণের চিত্র রয়েছে।
এদিকে নড়াইল সদর হাসপাতাল, লোহাগড়া ও কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৭জন চিকিৎসক ও ১০জন নার্সের সমন্বয়ে করোনাভাইরাস চিকিৎসায় ২০টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চিকিৎসক, নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের জন্য ৪৯০টি পিপিই (পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট বা ব্যক্তিগত সুরক্ষা যন্ত্র) এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরো জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাড়িতে থাকা কর্মহীন অসহায়-দিনমজুর মানুষের জন্য জেলায় ৩৮৬ দশমিক ৫৪০ মেট্রিকটন খাদ্যশস্য এবং ৯ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। দুই হাজার ৪০০ পরিবারের মাঝে এ খাদ্যদ্রব্য এবং অর্থ বিতরণ করা হবে। ইতোমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ ছাড়া করোনাভাইরাস প্রতিরোধে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সরকারি ও বেসরকারিভাবে প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।