রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম বাজারে সেই পেট্রলের দোকানে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আরো ১ যুবকসহ মোট ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৩০ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টায় ঢাকার একটি হাসপাতালের আইসিইউতে পান্না হোসেন নামের ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও বিকেল সাড়ে ৪টায় রবিউল ইসলাম রবিকে ঢাকা নেয়ার পথে বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির কাছে মৃত্যু হয়েছে। এদিকে রোববার (২৯ মার্চ) রাত পৌণে ১২টার দিকে শফিকুল ইসলাম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।
জানা যায়, বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম বাজারে পেট্রলের দোকানের মালিক মনির হোসেন মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে ড্রাম খুলে পেট্রল আলাদা করতে থাকেন। এ সময় আকস্মিকভাবে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান, ফায়ার সার্ভিস কর্মী, পুলিশ, সাংবাদিকসহ ৪০ জন আহত হয়। এরমধ্যে দগ্ধ অবস্থায় ১০ জনকে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর পৃথক সময়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শফিকুল ইসলাম উপজেলার তুলশিপুর গ্রামের দুখু মিয়ার ছেলে। তিনি একজন ভ্যান চালক। তার স্ত্রী ও দুটি মেয়ে রয়েছে। এরমধ্যে কয়েক মাস আগে বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। ফলে শফিকুলের মৃত্যুতে অসহায় হয়ে পড়েছেন তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম। স্বামীর মৃত্যুতে বারবার মূর্চা যাচ্ছেন।
রবিউল ইসলাম রবি (৪০) মনিগ্রাম বাজারের মন্টু আলীর ছেলে। মন্টু আলীর বড় ছেলে বিপ্লব হোসেন ৪ বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। বড় ছেলের স্ত্রীর সাথে ছোট ছেলে রবিউল ইসলাম রবির সামাজিকভাবে বিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত আগুনে দগ্ধ হয়ে রবিউল ইসলাম রবিও চলে গেলেন না ফেরার দেশে। রবির দুটি ছেলে রয়েছে।
এদিকে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিট থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পান্না হোসেনকে ঢাকার একটি হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হয়। সেখানে সোমবার রাত সড়ে ৮টায় তার মৃত্যু হয়। তিনি মনিগ্রাম বাজারের ইমাজ আলীর ছেলে। পান্না হোসেনও একজন সাধারণ পরিবারের ছেলে। তার আয়ের উপর সংসার চলত।
বাঘা থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, পেট্রোলের দোকানে আগুন লাগার ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে বাঘা থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, আগুনে দগ্ধ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে শুনেছেন বলে জানান।