করোনাভাইরাসের সংকটময় মুহূর্তে নড়াইলের লোহাগড়ায় কর্মহীন হতদরিদ্রদের মাঝে মাশরাফি বিন মর্তুজা এমপির পক্ষ থেকে চাল, ডাল ও তেল বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) দুপুরের লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৬৫০ পরিবারের মাঝে এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সিকদার আব্দুল হান্নান রুনু, লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম হায়াতুজ্জামান, লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সী আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মশিয়ূর রহমান, সহ-সভাপতি সৈয়দ ফয়জুল হক রোম, অবসরপ্রাপ্ত লে. কমান্ডার এম আব্দুল্লাহ, যুগ্মসম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য সাজ্জাদ হোসেন মুন্না, লোহাগড়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনসহ ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি, সম্পাদকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। করোনাভাইরাসের সংকটময় মুহূর্তে চালসহ এসব জিনিসপত্র পেয়ে খুশি গরিব মানুষেরা।
এদিকে, সোমবার দুপুরে মাশরাফি বিন মর্তুজার পক্ষ থেকে এসব খাদ্যসামগ্রী লোহাগড়ায় পৌঁছে দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাফিজ খান মিলন, জেলা যুবলীগের যুগ্মআহবায়ক গাউসুল আযম মাসুম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম উজ্জ্বল, সাধারণ সম্পাদক এস এম পলাশসহ দলীয় নেতাকর্মীরা। তারা লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের কাছে প্রথমে এসব খাদ্যসামগ্রী হস্তান্তর করেন। পরে বিভিন্ন ইউনিয়নের কর্মহীন অসহায় মানুষকে এসব চাল, ডাল ও তেল বিতরণ করা হয়।
এর আগে নড়াইল সদরের ৩০০ কর্মহীন দিনমজুর মাঝে নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজার পক্ষ থেকে চাল, ডালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিতরণ করা হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৌমেন চন্দ্র বসু জানান, মাশরাফি বিন মর্তুজা এমপির নির্বাচনী এলাকা নড়াইল সদরের একাংশ এবং লোহাগড়া উপজেলার এক হাজার ২০০ দরিদ্র পরিবারকে এ খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মাশরাফি তার নিজস্ব তহবিল থেকে ডাক্তার, নার্স এবং সাংবাদিকদের জন্য প্রায় ৫০০ পিপিই (ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম বা পোশাক) এর ব্যবস্থা করেছেন।
এদিকে, সংসদ সদস্য হিসেবে নড়াইলের নির্বাচনী এলাকায় চাল ডালসহ অন্যান্য উপকরণ দেয়ার পাশাপাশি খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকেও ভূমিকা রাখছেন মাশরাফি। করোনাভাইরাসের এই কঠিন সময়ে ক্রিকেটাররা যে ৩০ লাখ টাকার তহবিল গঠন করেছেন, মাশরাফি সেখানে দিয়েছেন ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। নিজের জায়গা থেকে সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন তিনি (মাশরাফি)।