বাগেরহাটের চিতলমারীতে গরু চোরের অপবাদ দিয়ে বসত বাড়ী ভাংচুর ও মালামাল লুট করেছে দূর্বৃত্তরা। সোমবার সকাল ১১টায় উপজেলার কুনিয়া গ্রামে ছদর মীরের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। ছদর মীর কুনিয়া গ্রামের মৃত: নওশের আলী মীরের ছেলে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে।
সদর মীরের ছেলে হাফিজুর মীর (৩২) জানায়, মধুমতি নদীর তীরে ২২ বছর আগে জমি কিনে বসবাস করে আসছি। আমাদের জমির উপর স্থানীয় একটি মহল দীর্ঘদিন ধরে সুকৌশলে দখলের পায়তারা চালাচ্ছে। তারা আমাদের নামে বিভিন্ন কুৎসা রটিয়ে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে আসছে। তারই জের ধরে গরু চুরির অপবাদ দিয়ে এদিন আমাদের বাড়ীতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা হাতুড়ি, কুড়াল, সাবল ও লাঠিসোটা দিয়ে আমাদের দু’টি বসত বাড়ী ব্যাপকভাবে ভাংচুর করে। বেলকনির গ্রীল ভেঙে ঘরে ঢুকে নগদ আড়াই লক্ষ টাকা, চাল, ডাল, আলু, সরিষা, গোয়ালের ৫টি গরু, ১০টি ছাগল, ১৫-১৬টি হাঁস ও মুরগি এবং লোহার সিন্দুক নিয়ে যায়। সিন্দুকে আনুমানিক ১০-১২ ভরি স্বর্ণালংকার ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল। ঘরের ভিতরের টিভি, ফ্রীজ, ফ্যান, মটর সাইকেল, হাড়ি কড়াইসহ যাবতীয় ফার্নিচার ভেঙে তছনছ করে। যাবার বেলায় তারা আমাদের জামা কাপড় কেটে কুঁচি কুঁচি করে বাগানে ফেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এ ব্যপারে কলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেশকাত আহম্মেদ বলেন, এদের উপর এই অমানবিক হামলা, ঘরবাড়ী ভাংচুর ও মালামাল লুটপাট অত্যন্ত দুঃখজনক। খবর পেয়ে আমি সেখানে ছুটে যাই এবং তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করি।
চিতলমারী থানার ওসি মীর শরীফুল হক জানান, খবর শুনে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে লুট হওয়া গরুর ৩টি উদ্ধার করে ওই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।