শ্বাসকষ্ট, জ্বর, পাতলা পায়খানা, গা ব্যাথা ও বমিতে আক্রান্ত হয়ে নড়াইলে শওকত আলী (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) রাত ৯টার দিকে নড়াইল সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। শওকত শহরের দক্ষিণ নড়াইলের ওমর আলীর ছেলে এবং তিনি রূপগঞ্জ বাজারে সুপারির ব্যবসা করতেন। এদিকে, শওকত আলীর লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরের পর মঙ্গলবার রাতেই দাফন করা হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। অন্যদিকে, বুধবার সকাল থেকে তাদের বাড়ি তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান এলাকাবাসী। বাড়ির লোকজন কোথায় আছেন, তা জানাতে পারেননি স্থানীয়রা।
মৃত শওকত আলীর পরিবারের সদস্যরা জানান, শওকতের শরীরে এক সপ্তাহ ধরে জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, গা ব্যাথাসহ করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। এরপর ঢাকায় করোনাসংক্রান্ত হটলাইনে ফোন দেয়া হলেও কোনো কাজ হয়নি। ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ সেবন করানো হলেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। একপর্যায়ে অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার রাতে নড়াইল সদর হাসপাতালে আনা হলে শওকত মারা যান।
নড়াইল সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তৌহিদুল হাসান তুহিন জানান, রোগির শ্বাসকষ্ট ও বমি ছিল। জ্বর মাঝে মাঝে আসছে, আবার চলে গেছে। হাসপাতালে আনার পর তার মৃত্যু হয়েছে। তবে পরীক্ষাছাড়া বলা সম্ভব নয়; কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে।
নড়াইল সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার আবদুস শাকুর জানান, মৃত শওকত আলীর ব্যাপারে সিভিল সার্জনকে অবগত করা হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করা হবে কিনা তিনি (সিভিল সার্জন) বলতে পারেন। এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাক্তার আবদুল মোমেনকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
এদিকে শওকতের মৃত্যুর ঘটনায় তার শরীরে করোনাভাইরাস আছে কিনা, তা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন পেশার মানুষ নানা মন্তব্য করেছেন। অন্যদিকে মঙ্গলবার রাতেই শওকত আলীর লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরের পর দাফন করা হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা বলেন, দক্ষিণ নড়াইলে একব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় ওই এলাকায় বাড়তি সর্তকতামূলক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কেউ আতঙ্কিত না হয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। এ ছাড়া জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পুরো জেলায়ই জোরদার ভাবে করা হচ্ছে। অন্যদিকে মৃত শওকত আলীর নমুনা সংগ্রহের প্রয়োজন নেই বলে সিভিল সার্জন আমাকে (জেলা প্রশাসক) জানিয়েছেন।